Main Menu

সরাইল উপজেলা চত্বর রিং স্লাব নির্মাতাদের দখলে প্রশাসন নিরুপায়

+100%-

সরাইল প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা চত্বর (অফিস পাড়া) এখন রিং স্লাব নির্মাতাদের দখলে। একাধিক দফতরের নাকের ডগায় গড়ে উঠেছে কারখানা। নির্বাহী কর্মকর্তার বাংলোর সামনেই রাখা হচ্ছে বালু। বাতাসে সমগ্র উপজেলায় উড়ছে ইটের গুড়া ও বালু। এদের পেছনে রয়েছে অনেক প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়া। প্রশাসনের কোন বাঁধা নিষেধই মানছে না তারা। এ বিষয়ে প্রশাসন এখন অনেকটা নিরুপায়।

সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, সমবায় অফিস, খাদ্য অফিস, মাধ্যমিক শিক্ষা ইন্সট্রাক্টরের অফিস, পরিসংখ্যান অফিস, মৎস অফিস ও হিসাব রক্ষণ অফিসের সামনে গড়ে উঠেছে বিশাল বড় রিং স্লাব তৈরীর কারখানা। মালিক তারা মিয়া। নিজের চেষ্টায় দখল করে নিয়েছেন এ জায়গা। সমগ্র দিনই বালু ও সুড়কির গুড়া উড়িয়ে চলছে উৎপাদন কাজ। যাতায়ত করছে ছোট ট্রাক্টর। দরজা জানালা দিয়ে অফিস কক্ষে প্রবেশ করছে বালু। জমছে বালুর স্তুপ। সারা দিনই চলে টেবিল মুছার কাজ। এখানকার তৈরী রিং স্লাবের পসরা সাজিয়ে রেখেছেন কৃষি অফিসের সামনে ও পেছনে। সমবায় অফিসের সামনে ও সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের পেছনে আরেকটি কারখানা গড়ে তুলেছেন নুরু মিয়া নামের আরেক লোক।

উপজেলা দারিদ্র বিমোচন কেন্দ্র ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস সংলগ্ন স্থানে আরেকটি বিশাল কারখানা তৈরী করে ৫/৬ বছর ধরে ব্যবসা করছেন ফুল মিয়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেন, তাদেরকে নিষেধ করলে কিছু প্রভাবশালী লোক তদবির করেন। ফুল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে অফিস পাড়ায় ব্যবসা করার কথা স্বীকার করে বলেন, এখন যেভাবে উপজেলা চত্বরের উপর অত্যাচার শুরু করেছে কিছু লোক। আমরা ব্যবসা গুটিয়ে ফেলব। তারা মিয়া বলেন, মসজিদের মোয়াজ্জিনের কাছে মাসে পাঁচ’শ টাকা দেয়। আর কৃষি অফিসের সামনে মাল গুলি রাখি বিক্রয়ের জন্য।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, গত মাসিক সভায় এ সকল ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যথা সময়ে তাদেরকে নোটিশ দেয়া হবে। নোটিশের পর সরে না গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।






Shares