Main Menu

সরাইল পিডিবি’র লঙ্কা কান্ড!

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ , সরাইল থেকেঃ
লঙ্কা কান্ড ঘটিয়েছে সরাইল পিডিবি। মাষ্টাররোল কর্মচারী ও দালালের মাধ্যমে জনৈক কর্মকর্তা খাতিয়ে নিয়েছেন ১৬ লক্ষাধিক টাকা। টাকা হয়েছে ভাগ বাটোয়ারা। সেচ পাম্পসহ দিয়েছেন অর্ধশতাধিক অবৈধ আবাসিক সংযোগ। অবৈধ খুঁিট বসানো হয়েছে ৪০টি। টানা হয়েছে এল টি তার। অনেক জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশ। মিটার আছে, বাতি আছে ঠিকঠাক। কিন্তু গ্রাহকের কাছে নেই কোন বৈধ কাগজপত্র। ২/৩ মাস বিদ্যুত ব্যবহারের পর টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। গনহারে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় সংযোগ। বিস্মিত ও আশ্চর্য্য হন গ্রাহকরা। সেচ বন্ধ হয়ে যায় ইরি স্কীমের। আকাশ ভেঙ্গে মাথায় পড়ে স্থানীয় কৃষকদের। চার স্কীম মালিকের বিরুদ্ধে বিদ্যুত আইনে দেওয়া হয় মামলা। দুই শতাধিক বিঘা ইরি ফসল এখন হুমকির মুখে। উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আঁখিতারা ও কাটানিশার গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। সরজমিনে দেখা যায়, বিদ্যুতের জন্য চারিদিকে হাহাকার। বিদ্যুত ও টাকার চিন্তায় লোকজন ছেড়ে দিয়েছে খাওয়া খাদ্য। একটি মিটার বা সংযোগের জন্য তাদের গুনতে হয়েছে ১৬ হাজার টাকা। আর প্রত্যেকটি স্কীমের  (সেচ পাম্প) জন্য দিয়েছেন দেড়/দুই লাখ টাকা। এমন গ্রাহকের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। টাকা গুলো দিয়েছেন তারা কাটানিশার গ্রামের বাসিন্ধা  হেবজু মিয়াকে। হেবজুর সাথে অজানা কারনে অনেক কর্মকর্তার সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের। হঠাৎ করে সরাইল পিডিবি ওই সকল অবৈধ সংযোগ করে দিয়েছেন বিচ্ছিন্ন। দুই গ্রামের চারটি ইরি স্কীম বন্ধ হয়ে গেছে। পানি সেচের অভাবে প্রায় আড়াই শতাধিক বিঘা ফসলি জমি এখন নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। দিশেহারা হয়ে এখন গ্রাহকরা ছুটছেন হেবজু ও বিদ্যুত অফিসে। কোন কূলকিনারা পাচ্ছেন না তারা। কৌশলে কর্তৃপক্ষ সেচ পাম্পের মালিক আঁখিতারা গ্রামের রাহিছুর রহমান, আমির হোসেন, কাটানিশার গ্রামের হাকি মিয়া ও আনোয়ার মিয়ার বিরুদ্ধে অবৈধ বিদ্যুত ব্যবহারের অভিযোগ এনে মামলা করে দেন। পাম্পের মালিকরা বলেন, স্যারের কথা বলে হেবজু যত টাকা চেয়েছে আমরা দিয়েছি। আমাদের কি অপরাধ? আমাদের ফাইল গুলো নাছির স্যারের কাছে আছে। আঁখিতারা গ্রামের আবাসিক গ্রাহক লালমন, অনিল, ভূষন, মোবারক মিয়া, রফিক মিয়া, মনির, জালাল, নূরুল ইসলাম, শফিকুল, তৌহিদ, আবিদুর, তাজু, ফুল মিয়া, জলিল, হাজু মিয়া, ওয়ার্কসপ মালিক পাবেল মিয়া, কাটানিশার গ্রামের হিরাধন জানান, হেবজু এখানকার ৬৪ জন গ্রাহকের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১৬ হাজার করে টাকা নিয়েছেন। ১০ লাখ ২৪ হাজার টাকা নিয়ে প্রত্যেককে মিটার দিয়েছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন কাগজ দেননি। ২/৩ মাস পর কিছু না বলেই আমাদের সংযোগ কেটে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এখন টাকা ও বিদ্যুত কোনটাই পায় না। আবার মামলার ভয় ও দেখানো হচ্ছে। মোঃ হেবজু মিয়া ৩৮ জন আবাসিক গ্রাহক ও ৪টি সেচ পাম্পের মালিকের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি এ কাজ বাবদ নাছির স্যারকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়েছি। ফাইল গুলি ও স্যারের কাছে। ১২/১৩ টি খুঁটি বসিয়েছি। ঠিকাদারের মাধ্যমে তার টানিয়েছি। অফিস হঠাৎ সকল সংযোগ কেন বিচ্ছিন্ন করে দিল বুঝলাম না। আমি বর্তমানে গ্রামের মানুষের চাপের মধ্যে আছি। উপ-সহকারি প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরন বিভাগ) মোঃ নাছির উদ্দিন বলেন, এক মাস আগে আমি ৪টি সেচ পাম্পের ইষ্টিমিট করার জন্য কাগজপত্র ও ১৫ হাজার টাকা পেয়েছি। সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মামলা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। স্যারে জানে।  সরাইল উপজেলা পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরন বিভাগ) মোঃ মোশাররফ হোসাইন বলেন, টাকা লেনদেন সহ কোন বিষয়ই আমার জানা নেই। আমি যখন বুঝতে পেরেছি ওই লাইন গুলো অবৈধ সাথে সাথে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি। কোন ধরনের অনিয়ম দূর্নীতির সাথে আমার কোন কর্মকর্তা কর্মচারী জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নিব।






Shares