Main Menu

সরাইলে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

+100%-


মাসুদ, সরাইল প্রতিনিধি:  পূর্ব বিরোধ ও পরকীয়া প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের ৩টি দোকান ও বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ভাংচুর লুটতরাজ করে দাঙ্গাবাজরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ১১ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বুধবার সকালে সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শোলাবাড়ি গ্রামে। বর্তমানে গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী জানায়, শোলাবাড়ির গ্রামের একটি সিএনজিচালিত অটোরিকসা স্ট্যান্ডের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রামের এজামতের বাড়ি ও মাক্কি মিয়ার বাড়ির লোকদের সাথে একই এলাকার সাদেক সর্দারের বাড়ির লোকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত কয়েকদিন ধরে মাক্কি মিয়ার বাড়ির হাবিব মিয়া নামে এক যুবক সাদেক সর্দারের বাড়ির এক মহিলাকে মোবাইল ফোনে উত্যক্ত করে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার রাতে হাবিব মিয়াকে মোবাইল ফোনে ইউনিয়নের নাইলা গ্রামে ডেকে নিয়ে যায় সাদেক সর্দারের বাড়ির লোকেরা। পরে তারা হাবিব মিয়াকে সেখানে মারধোর করে। হাবিব মিয়া গ্রামে এসে ঘটনা বলার পর মাক্কি মিয়ার বাড়ির লোকেরা সাদেক সর্দারের বাড়ির শরীফ নামে এক যুবককে রাতেই মারধোর করে। এ ঘটনায় দুই বাড়ির  লোকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। গতকাল বুধবার সকাল ৯টার দিকে হাবিব মিয়ার বড় ভাই হান্নান মিয়া বাজারে যাওয়ার পথে সাদেক সর্দারের বাড়ির লোকেরা তাকে বেদম মারধোর করে বাড়িতে ধরে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর সকাল ১০টার দিকে মাক্কি মিয়ার বাড়ি ও এজামতের বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সাদেক সর্দারের বাড়ির লোকজনের বাড়িতে হামলা করলে দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। দুই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় দলের মহিলাসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের ৩টি দোকান ও বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর-লুটতরাজ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিপেটা এবং ১১ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে দুপুর ১২টায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনে।
আহতদের মধ্যে আল-আমিন-(২৭), শহাজাহান-(৩৫), আবুল হোসেন-(২২), জুয়েল-(২১), রাসেল মিয়া-(২৩), মাহিনুর-(২০) ও আলামিন-(৩০) কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকীরা সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, আশুগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আরশাদ বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রনে আছে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে ১১ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে ও পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।






Shares