প্রতি ভোটের জন্য এক হাজার ছয়শ টাকা খরচ। ব্রা হ্ম ণ বা ড়ি য়া – ২ আ স ন
প্রথম আলো: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গত রোববার প্রায় সব ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিত ছিল খুবই কম। এমনকি একটি কেন্দ্রের ৩৫টি ভোটের জন্য সরকারিভাবে প্রায় ৫৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
গত রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের টিঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। পরে ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে মাত্র ৩৫টি। তবে এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন তিন হাজার ৪৬৭ জন।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই ভোটকেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ছিল সাতটি। ওই কেন্দ্রের একজন প্রিসাইডিং ও সাতজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ ভাতা বরাদ্দ করা হয় চার হাজার টাকা। প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সমঞ্চানী ভাতা বাবদ বরাদ্দ তিন হাজার টাকা। সাতজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সমঞ্চানী ভাতা ১৪ হাজার টাকা। ১৪ জন পোলিং কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ ভাতা পাঁচ হাজার ৬০০ টাকা ও সমঞ্চানী ভাতা ২১ হাজার টাকা। সাতজন আনসার সদস্যের সম্মানী চার হাজার ২০০ টাকা। কেন্দ্রের বেষ্টনী তৈরি বাবদ খরচ দুই হাজার টাকা ও কেন্দ্রে মালামাল পরিবহনের জন্য খরচ দুই হাজার টাকা।
এতে এ কেন্দ্রের জন্য মোট খরচ হয়েছে ৫৫ হাজার ৮০০ টাকা। কিন্তু এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৩৫টি। সে হিসেবে একটি ভোটের জন্য সরকারিভাবে খরচ পড়েছে এক হাজার ৫৯৪ টাকারও বেশি। এ ছাড়া এ কেন্দ্রে ওই সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও পুলিশের তিনজন সদস্য দিনব্যাপী দায়িত্ব পালন করেছেন।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, এই কেন্দ্রে ৩২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী দিনভর দায়িত্ব পালন করেন। তবে দিন শেষে এ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের হার ১ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) জিয়াউল হক মৃধা।