ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নিয়ে মাঠে আওয়ামীলীগ
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল / যতই ঘনিয়ে আসছে সময় ততই বাড়ছে প্রার্থীদের ব্যস্ততা। জয়-পরাজয়ের লড়াইয়ে ভোটারদের কাছে টানতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে প্রার্থীরা। জয়ের লক্ষ্যে ভোট প্রত্যাশী একপ্রার্থীর মুখে এ এলাকাকে আধুনিক ও যুগ উপযোগি সরাইল-আশুগঞ্জ উপজেলা গড়ার প্রত্যয় আবার অন্যপ্রার্থীর মুখে উন্নয়নের ধারাবাহিকতার কথা শুনা যাচ্ছে প্রচারনার সময়। জয়ের আশা সকলেই ছুটছে এখান থেকে ওখানে। তবে এলাকাতে নির্বাচনী পালে কিছুটা নতুন হাওয়া দেখা গেলেও নেই উৎসবের আমেজ।
এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না সর্ব বৃহত রাজনৈতিক দল বিএনপি। তার পরও এগিয়ে চলেছে নির্বাচনের পাগলা ঘোড়া। উৎসাহ আর জয়ের মনবল নিয়ে ছুটছে নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলো। তবে ২৪৪ নং সংসদীয় আসন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) এবার ৭ প্রার্থীর নাম কাগজে কলমে নাম থাকলেও লড়ছে ২/৩ প্রার্থী।
প্রধান বিরোধীদল বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় অংশ গ্রহনকারী দলগুলোই ‘নির্বাচনী প্রচরনার চষে বেড়াচ্ছেন উপজেলা জুড়ে’। তবে অন্যান্য বারের জাতীয় নির্বাচনী উৎসবের আমেজ নেই এবারের সংসদ নির্বাচনে।
দায়সারা গণসংযোগ পোষ্টার ও মাইকিং-এ-ই চলছে নির্বাচনী প্রচারনা। ক্ষমতার মূল উৎস খ্যাত ভোটারদের ও নেই কোন কদর। আসলে ভোট হবে কিনা, কেন্দ্রে যাওয়া যাবে কিনা , শেষ পর্যন্ত কি হবে ইত্যাদি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারন মানুষের মনে। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার সমন্বয়ে এ আসন। মোট ভোটার ২ লাখ ৯২ হাজার ৫’শ ৯৩ জন। এ আসনে বিএনপি বা ১৮ দলীয় জোটের কোন প্রার্থী নেই। আওয়ামীলীগের প্রার্থী শিউলী আজাদের মনোনয়ন ও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বর্তমানে এখানে জাতীয় পার্টি সহ সাতজন প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। সরজমিনে দেখা যায়, নির্বাচনের মাত্র ১সপ্তাহ বাকি থাকলেও ভোটাররা একবারেই নিস্তেজ। ভোটারদের মধ্যে নেই কোন আগ্রহ ও আনন্দ। অন্যান্য নির্বাচনের মত প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে টানছেন না। অনেকটা দায়সারা গণসংযোগ করছেন হাতে গুনা কয়েকজন প্রার্থী। অনেক প্রার্থী এখনো ভোটারদের সামনে আসেননি। ভোটাররা শুধু নাম শুনেছেন চোখে দেখেননি আদৌ। এমন প্রার্থীর সংখ্যা ৩/৪ জন। মোট কথা এখানে ভোটারদের কোন কদর নেই । তবে গুটি কিছু পাতি নেতাকে টাকার বিনিময়ে ক্রয় করে কোন রকমে নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়ার চেষ্টা করছেন কিছু প্রার্থী। মাইকিং পোষ্টার সাটানোতেই সীমাবদ্ধ আছে নির্বাচনী প্রচারনা। আবার অনেক প্রার্থীর তাও নেই। এ দিকে আওয়ামীলীগের কিছু নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছেন কোমর বেঁধে। তারা তৃণমূল নেতা কর্মীদের দোহাই দিচ্ছেন হাই কমান্ডের। বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবিরের সহধর্মিনী নায়ের কবির এলাকায় গণসংযোগ করছেন। ঝুলছে তাদের পোষ্টার। চলছে মাইকিং। সাধারন ভোটারদের ধারনা এখানে হেভিওয়েট প্রার্থী হচ্ছেন মৃধা ও নায়ের কবির। লড়াই হবে দ্বিমূখী। এমপি মৃধার মূল ভরসা গত পাঁচ বছরের উন্নয়ন ও এলাকার ছেলে। নায়ের কবিরের হাতিয়ার তোহুর নেতা হুমায়ুন কবির ও তার উন্নয়ন। সরাইলের ঠান্ডা ভোট যুদ্ধে এখন এ দু’জনের লড়াই চলছে।