সরাইলে ইউএনও’র দফতর থেকে দুই আসামী গ্রেপ্তার । দারোগার উপর ক্ষুদ্ধ ইউএনও
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল থেকে :সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্যালয় থেকে দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছেন দারোগা সিদ্দিক। তারা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নোটিশ পেয়ে একটি অভিযোগের শুনানীতে অংশ গ্রহনের জন্য এসেছিলেন। নিষেধ করার পরও দারোগা ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্যালয় থেকে আসামী গ্রেপ্তার করায় ক্ষুদ্ধ হয়েছেন ইউএনও। নির্বাহী কর্মকর্তার দফতর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শাহবাজপুরে তিতাস নদীর বালু মহাল থেকে মেসার্স হাসান বিল্ডার্স নামক একটি লাইসেন্সের ইজাদাররা দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছেন। এ ব্যাবসায় একাধিক অংশীদার থাকায় সম্প্রতি হিসাব নিকাশ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্ধ চরম আকার ধারন করেছে। একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজি মামলাও করেছেন। বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য তারা সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার শরনাপন্ন হন। শুনানির জন্য পক্ষদ্বয় ও সংশ্লিষ্ট স্বাক্ষীদের নোটিশের মাধ্যমে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউএনও’র কার্যালয়ে ডেকে আনেন। শুনানিতে আসামী থাকতে পারে তাদেরকে কোন ধরনের হয়রানি না করার জন্য তিনি (ইউএনও) আগেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে পরামর্শ ও করেছিলেন। কিছুক্ষন শুনানির পর নামাজ ও খাবারের বিরতি দেয়া হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মোহাম্মদ এমরান হোসেনের নিষেধ অমান্য করে তার দফতর থেকে সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক আনোয়ার (৩৯) ও শাহজাহান (৪৫) নামের দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যান। এ ঘটনায় ওই দারোগার উপর ক্ষুদ্ধ হন ইউএনও। তিনি দ্রুত বিষয়টি জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলী আরশাদ বলেন, কাজটি মোটেও উচিত হয়নি। আসামীদের উপজেলার গেইটের বাহির থেকে গ্রেপ্তার করা যেত। আমি এ ঘটনায় অত্যন্ত ব্যথিত। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্টেটের কার্যালয় কেন তার অফিসের বাউন্ডারির ভেতর থেকে কোন আসামী গ্রেপ্তারের বিধান নেই। আমার নিষেধ অমান্য করে দারোগা আমাকে লজ্জায় ফেলেছে। আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি। দারোগা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, তারা চাঁদাবাজি মামলার আসামী। অফিস থেকে নয়, ইউএনও’র কার্যালয়ের সামনের আম গাছের নীচ থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছি।