মোহাম্মদ মাসুদ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে নৌকা ডুবিতে খাদিজা আক্তার (১২) নামের এক শিশু শিক্ষার্থীর সলিল সমাধি হয়েছে। খাদিজা চুন্টা ইউনিয়নের আজবপুর গ্রামের বাসিন্ধা মানজু মিয়ার কন্যা। গত শনিবার রাতে রসুলপুর ও আজবপুর গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে (হাওড়ে) নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ স্কুল ছাত্রীর লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খাদিজা আজবপুর গ্রামের নীট কিন্ডার গার্টেনের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। বিদ্যালয়ের ৬৫ জন শিক্ষার্থীর সাথে গত শুক্রবার সকালে বনভোজনের উদ্যেশ্যে গিয়েছিল হবিগঞ্জ জেলার সাতছুড়ি চা বাগান এলাকায়। বনভোজন শেষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা রাতে রসুলপুর নৌকা ঘাটে এসে পৌঁছায়। সেখান থেকে তিনটি ছোট ডিঙ্গি নৌকায় করে বিভক্ত হয়ে আজবপুরের উদ্যেশ্যে রওয়ানা দেয় তারা। খাদিজাকে বহনকারী নৌকাটি দুই গ্রামের মাঝের হাওড়ে যাওয়া মাত্র বিপরীত দিক থেকে আসা মাল টানার বড় একটি ষ্টীলের নৌকার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মূহুর্তের মধ্যে যাত্রীবাহী নৌকাটি ডুবে যায়। অন্যরা লাফিয়ে সাঁতরিয়ে কূলে পৌঁছলেও ঘটনাস্থলেই সলিল সমাধি ঘটে শিশু খাদিজার। আহত হয় আরো চার শিক্ষার্থী। প্রধান শিক্ষক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রসুলপুর গ্রামের আবদুল খালেক মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিন মাঝি তার ষ্টীলের নৌকা দ্বারা চাপা দিয়ে এ দূর্ঘটনাটি ঘটিয়েছে। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার চক্রবর্তী বলেন, খাদিজার লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তার স্বজনরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। |