Main Menu

পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জের, সরাইলে সাংবাদিক ও ছাত্রসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলা

+100%-

প্রতিনিধি : ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানায় এবার সাজানো মামলায় আসামী করা হয়েছে জাতীয় দৈনিকের স্থানীয় দুই সাংবাদিক, তিন কলেজ ছাত্র ও চার ব্যবসায়ীকে। গত মঙ্গলবার গভীররাতে দায়ের করা মামলার বাদী নাসিরনগরের কুখ্যাত ডাকাত মনির খাঁন ওরফে মইন্যা ডাকাত এর পিতা গোলাপ খা।

মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে তার ছেলে মনির বিপথগামী ছিল। নানা অপরাধে লিপ্ত পুত্রকে অপরাধজগত থেকে দূরে সরাতে ব্যর্থ হন তিনি। জনৈক দারোগার পরামর্শে ও সৎ কর্মসংস্থানের আশ্বাসে তার পুত্র ভালো হয়ে যায়। কিন্তু দৈনিক মানবজমিনের সাংবাদিক মাহবুব খান ও দৈনিক খবরের, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টোয়েন্টিফোর ডট কম এর সরাইল প্রতিনিধ মো.মাসুদ বিভিন্ন অপরাধের মদদদাতা। তারা মনিরকে অপরাধে লিপ্ত থাকার জন্যে চাপ প্রয়োগ করছিল এবং হুমকী ধামকি দিচ্ছিল। তাদের স্বার্থে আঘাত আসায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গত সোমবার সকালে তার ছেলে নাসিরনগর থেকে সরাইল থানায় যাওয়ার সময় উচালিয়াপাড়া মোড়ে (স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোড়ে) ১ নম্বর আসামীর (মাহবুব খান) হুকুমে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে মনিরের কাছে থাকা ১৮০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
জানা যায় গত ২৪ আগষ্ট দৈনিক মানবজমিন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াটোয়েন্টিফোরডটকমে সরাইল থানার এসআই আবু বকর সিদ্দিকের নানা দূর্নীতির বিবরণ তুলে ধরে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর সোমবার ওই দারোগার পক্ষে অপরাধীরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোড়ে একটি মানববন্ধনের আয়োজন  করে। ওই মানববন্ধনের নেতৃত্ব দেয় কুখ্যাত ডাকাত মনির খান ওরফে মইন্যা ডাকাত। এই মানববন্ধনে অংশ নেয় এলাকার চিহ্নিত কয়েকজন অপরাধী। এক পর্যায়ে এলাকার ছাত্র-যুবক ও ব্যবসায়ীরা উত্তেজিত মানববন্ধনে অংশ নিতে আসা অপরাধীদের হয়ে ধাওয়া করে। ুব্দ জনতার ওই মানববন্ধন পন্ড হয়ে যাওয়া এবং জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন দৈনিকে অপরাধীদের দিয়ে পুলিশের মানবন্ধন করানোর খবর প্রকাশিত হলে মঙ্গলবার রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় দু-জন সাংবাদিক ছাড়াও আসামী করা হয়েছে উচালিয়াপাড়ার গ্রামের বাসিন্দা কলেজ ছাত্র জুয়েল মিয়া, আনিছ মিয়া, সাইফুল, জুয়েলের বড় ভাই ব্যবসায়ী হেলাল মিয়া, সজল মিয়া ,মাসুম মিয়া ও রাফাত মিয়াকে। মামলার পর দুই সাংবাদিক ও তিন শিক্ষাথীসহ সব আসামি এলাকা ছাড়া হয়ে পড়েছেন।
সরাইল থানার ওসি উত্তম কুমার চক্রবর্তী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন বিষয়টি নিস্পত্তির পথে রয়েছে।  

 

 






Shares