প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার পুলিশ কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে তাঁর পক্ষে মাঠে নামলেন এলাকার চিহ্নিত অপরাধীরা। প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানায়,পুলিশের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে সুবিধাভোগী এসব অপরাধীরা পুলিশের উপস্থিতিতে মানববন্ধনের নামে গাছের গুড়ি ফেলে সরাইল-নাসিরনগর সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। উপজেলা সদরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোড়ে সোমবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে এলাকার ছাত্র-যুবক ও ব্যবসায়ীদের ধাওয়া খেয়ে তারা পালিয়ে যায়। অপরাধীদের এ ঘটনার প্রতিবাদে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এলাকাবাসী উপজেলা সদরের কুট্টাপাড়া মোড়ে অবস্থান নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে স্থানীয় গণ্যমান্যদের বিচারের আশ্বাসে তারা সরে দাঁড়ান। জানা যায়,গত শনিবার বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে সরাইল থানার পুলিশ কর্মকর্তা এসআই আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় তার পক্ষ নিয়ে এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত অপরাধীরা আজ সোমবার সরাইল-নাসিরনগর লাখাই আঞ্চলিক সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। পুলিশের পক্ষে অবস্থান নেওয়া অপরাধীদের নেতৃত্বে ছিলেন নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক এলাকার একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি মনির খান ওরফে মইন্যা ডাকাত (৩৫), সরাইল উপজেলা সদরের উচালিয়াপাড়া গ্রামের নানা অপকর্মের হোতা মো.ইউসুফ মিয়া ওরফে গুছা ইউসুফ (৩৫)। একই গ্রামের ইয়ারসুল মিয়ার পুত্র সিএনজি ছিনতাই ও পুলিশ এ্যাসল্ট মামলার আসামী টিটু (২৬), আবদুল হাদিস মিয়ার পুত্র শাওন (২৬), মোহাম্মদ আলীর পুত্র শফিক (২৭), বড্ডা পাড়া গ্রামের সুরুজ খার পুত্র একাধিক মামলার আসামী দাঙ্গাবাজ এমরান (২৭), শাহজাহান মিয়ার ছেলে জুয়ার সম্রাট খ্যাত এরশাদ মিয়া (২৯), নিজ সরাইল গ্রামের টুনটুন মিয়ার পুত্র নারী নির্যাতন মামলার আসামী রুবেল(৩০), মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী কাইয়ুম সরকারের ছেলে আল-আমীন (৩২), নোয়াগাঁও গ্রামের আবু নাছেরের পুত্র বাচ্চু মিয়া (৪৫), বড়দেওয়ান পাড়ার রাকিব মোল্লার পুত্র তানজিল (২৬)। পরে এলাকাবাসীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে তারা পালিয়ে যায়। তারা সংখ্যায় ছিল ২০ থেকে ২৫ জন। এলাকাবাসী জানায়, মাদকসেবীরা গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধের চেষ্টার সময় থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এস আই) ফরহাদ আব্বাস, অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিল। তারা নীবর দর্শকের ভূমিকা পালন করেন। পরে কয়েকশ লোক উত্তেজিত হয়ে অবরোধকারীদের দাওয়া করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেওয়ার চেষ্টা করে। সরাইল থানার ওসি উত্তম কুমার চক্রবর্তী বলেন, গতকাল (গত রোববার) সন্ধ্যায় এ রকম একটি ঘটনার কথা শুনে আমি থানার সব কর্মকর্তাকে এসব কাজে জড়িত না থাকতে নিষেধ করেছি। আমার জানা মতে অপরাধীদের এ অবরোধ কর্মসূচীর সাথে থানার কোন কর্মকর্তা জড়িত নন। |