কনরে বয়স ১৪ বররে বয়স ১৬
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ঃ সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী রুনা বেগম (১৪) ও দিন মজুর লিটন মিয়া। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের হালুয়া পাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে থেকে কনে বর ও তাদের পিতা মাতাকে ইউএনও’র দফতরে হাজির করা হয়। বাল্য বিয়ে হবে না মর্মে অভিভাবকদের কাছ থেকে মুছলেকা রেখে জরিমানা করা হয়। স্বাক্ষী করেছেন ইউপি সদস্যকে। এলাকাবাসী ও ইউএনও’র দফতর সূত্রে জানা যায়, হালুয়া পাড়া গ্রামের ছাকেদ আলীর কন্যা রুনা বেগম। সে সদর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। তাদের প্রতিবেশী উলফত আলীর দিন মজুর ছেলে লিটন মিয়ার (১৬) সাথে বিয়ে ঠিক করেন। গত শুক্রবার ছিল তাদের আনুষ্টানিক বিয়ে। নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি জেনে উভয়কে অভিভাবক সহ তার দফতরে হাজির করা হয়। ছেলে, মেয়ে, পিতা মাতাকে বিয়ের প্রস্তুতির জন্য চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সাথে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের বিয়ে হবে না এই মর্মে পঞ্চাশ টাকা মূল্যের ষ্টাম্পে মুছলেকা রাখা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার হাবিবুর রহমান। রুনা ও লিটনের পরিবারের লোকজন জানায়, গত বুধবার নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে উকিলের সহায়তায় কোর্টে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। তবে তাদেরকে কোর্টে হাজির করা হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, ছেলে এবং মেয়ে দুজনই নাবালক । প্রচলিত আইন মাফিক তাদের বিয়ে হতে পারে না। এর জন্য উভয় পরিবারের অভিভাবকরা দায়ী। তাই জরিমানা আদায় করে মুছলেকা রেখেছি। |