Main Menu

সরাইলে গুদাম কর্মকর্তা বদলি হলেও খাদ্য নিয়ন্ত্রক বহাল তবিয়তে

+100%-

 

 

প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে চলতি মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রমে খাবার অনুপযোগী ৭০ মেট্টিক টন চাল কেনার অভিযোগে উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান ভূইঁয়াকে কর্তৃপক্ষ বদলি করলেও এ অনিয়মের মদদদাতা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম এখনো বহাল তবিয়তে আছেন।
গত বুধবার চট্টগ্রাম অঞ্চলের খাদ্য নিয়ন্ত্রক এ.কে.এম. ফজলুর রহমান স্বারিত এক পত্রে আসাদুজ্জামান ভূইঁয়াকে বদলির নির্দেশ দেয়া হয়।
অভিযোগ আছে, এ কার্যক্রমের শুরু থেকে উপজেলা গুদাম কর্মকর্তা ও খাদ্য নিয়ন্ত্রকের যোগসাজশে খাবার অনুপযোগী নিন্মমানের বিবর্ণ চাল কেনার নামে সরকারের লাখ লাখ টাকা অপচয় করেছেন তারা। ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে তারা এসব চাল অসাধু মিল মালিকদের কাছ থেকে কিনে গুদামে ঢুকিয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৩ জুলাই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন গুদামের ভেতরে রাখা চাল পরীক্ষা করে খাবার অনপযোগী ১৪০১ বস্তা (৭০ মেট্টিক টন) আতপ চাল জব্দ করেন। এছাড়া ১৭২ বস্তা বিবর্ণ সিদ্ধ চাল গুদামে ঢুকানোর সময় ফিরিয়ে দেন তিনি। চালের নমুনাসহ প্রতিবেদনের মাধ্যমে ইউএনও বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন।
জেলা প্রশাসক সরাইল খাদ্য গুদামে সংরতি ১৪০১ বস্তা চালের গুণগত মান তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রেরনের জন্য গত ৪ আগষ্ট ৩৭৩/১(৩) নং স্মারকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিা ও উন্নয়ন) পত্র দেন। গত ১৯ আগষ্ট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিা ও উন্নয়ন) রিপন চাকমা সরাইল গুদামে সরজমিনে এসে বিষয়টির তদন্ত করেন। এসময় তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা খাবার অনুপযোগী চাল কেনার বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেন এবং এ অনিয়মের কারণে ক্ষমা চান।
উপজেলা খাদ্য গুদাম ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বদলির নির্দেশ পত্র পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও খাদ্য ক্রয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এমরান হোসেন জানান, ‘তার বদলির বিষয়টি মূলত: খাদ্য বিভাগের বিষয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর জব্দকৃত ১৪০১ বস্তা চাউলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে।’






Shares