প্রতিনিধি: আট বছরের শিশু রাসেল হত্যার রহস্য এক মাসেও উন্মোচিত হয়নি। মামলারও তেমন অগ্রগতি নেই। এদিকে এ হত্যাকা-ের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল উঠেপড়ে লেগেছে। এ মামলায় পুলিশের ভূমিকাও রহস্যজনক। এ অবস্থায় রাসেল হত্যার বিচারের দাবীতে এলাকাবাসী মহাসড়ক অবরোধসহ নানা আন্দোলন কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছেন। পুলিশ, এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ জুলাই দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নন্দনপুর বিসিক শিল্প এলাকায় সমবয়সী ছেলেদের সাথে খেলা করছিল শিশু রাসেল। হঠাৎ কর্মস্থলে তার মায়ের সাথে দেখা করতে গিয়ে সে নিখাঁজ হয়। পরদিন ৬ জুলাই দুপুরে বিসিকের উত্তর পাশের পুকুরে রাসেলের লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা লোকদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। শিশু রাসেলের পিতা একজন রিকসাচালক। মা হোসনা বেগম বিসিক এলাকায় মকবুল সোপ ফ্যাক্টরীতে রান্নার কাজ করেন। তারা সদর উপজেলার উত্তর সুহিলপুর হাড়িয়া এলাকার খসরু মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া। তাদের বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপুর এলাকায়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৩ জুলাই পুলিশ মকবুল সোপ ফ্যাক্টরীর ম্যানেজার সেলিম মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন সকালে তাকে ছেড়ে দেয়। শিশু রাসেলের পিতা মো. ওসমান মিয়া বলেন, ৫ জুলাই দুপুরে আমি বিসিক এর পুকুরে বর্সি দিয়ে মাছ ধরছিলাম। তখন রাসেল আমার সাথেই ছিল। কিছুক্ষণ পর সমবয়সী ছেলেদের সাথে সে চলে যায়। আর ফিরেনি। তিনি বলেন, রাসেল সাঁতার কাটিতে জানে। তার লাশ পুকুরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। গলার দুই অংশ ফুলা ও জিহবা বাহির অবস্থায় দেখা যায়। তিনি দাবি করেন, কে বা কাহারা রাসেলকে হত্যার পর পানিতে ফেলে রাখে। এ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) শফিকুল আলম জানান, শিশু রাসেলের লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তাতে উল্লেখ রয়েছে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং তাকে হত্যা করা হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকা- উল্লেখ করে জানান, যে পুকুর থেকে শিশু রাসেলের লাশ উদ্ধার হয়েছে সেই পুকুরে সে যাওয়ার কথা নয়। এ হত্যাকা-ের নেপথ্যে একটি বিষয় আছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তিনি।
|