Main Menu

সরাইলের কুট্রাপাড়া মোড় – কালিকচ্ছ সড়ক খানা খন্দে ভরা, বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ:  সরাইলের কুট্রাপাড়া মোড় থেকে কালিকচ্ছ বাজার। সাত কিলোমিটার সড়ক। সরাইল ও নাসির নগর উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ জেলা শহর সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যায় এ সড়ক দিয়ে। পুরো সড়কটি এখন খানা খন্দে ভরা। সামান্য বৃষ্টি হলেই জমে থাকে হাঁটু পানি। যাত্রী ও চালকদের দূর্ভোগ এখন চরমে। ঘন ঘন বিকল হচ্ছে যানবাহন। অসুস্থ্য লোকদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে পরিবেশ। অনেকে যন্ত্রনায় গালমন্দ করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। সওজের জোড়া তালি ধ্বংস হয়ে যায় নিমিশেই। এ সড়কে চলাচলকারি লক্ষাধিক মানুষের নাভিশ্বাস বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সড়কের সংস্কার কাজ অধরাই রয়ে গেল গত পাঁচ বছর। সরেজমিনে দেখা যায়, সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই সড়কের এ অংশে রয়েছে সহস্রাধিক গর্ত। সড়কে যাতায়তকারী দুই উপজেলার নারী পুরুষ ও শিশুদের দূর্ভোগের শেষ নেই। গুরুতর অসুস্থ্য রোগী ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এ সড়ক যেন মরন ফাঁদ। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কটি তলিয়ে যায় পানিতে। তবু ও চলতে হবে। সড়কের দু’পাশে পাঁয়ে হেঁটে চলাচলকারিদের ও নেই কোন নিরাপত্তা। প্রায়ই গাড়ির কাঁদা পানি ছিটিয়ে নষ্ট করে দেয় শিক্ষার্থী ও পথচারীদের জামা কাপড়। যখন তখন বিকল হচ্ছে যানবাহন। অথচ সড়কের পাশে কালিকচ্ছে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের দক্ষিন পূর্ব রিজিয়নের আঞ্চলিক দপ্তর। রয়েছে একটি কলেজ, মাদ্রাসা, কয়েকটি মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। জীবন জীবিকার প্রয়োজনে নাসিরনগরের ৬টি ও সরাইলের ৫ টি ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের মাধ্যম এ সড়কটি। সিএনজি চালক বাদল ও কামাল জানায়, এ সড়কে ভাল মানুষ অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। গাড়ি চালানোর পর শরীর ব্যাথা করে। প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খেতে হয়। জেলা সড়ক ও জনপথের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল আলম মুঠো ফোনে বলেন, সড়কটি মেরামতের জন্য কোন বাজেট নেই। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নিজস্ব ব্যাবস্থাপনায় কাজ করে যাচ্ছি।






Shares