Main Menu

সরাইলে পুত্রের হাতে পিতা খুন : জনমনে গুঞ্জন ! আটক -২

+100%-
প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে নিজ পুত্রের হাতে খুন হয়েছেন প্রবাস ফেরৎ পিতা মোঃ মাজু মিয়া (৫০)। গতকাল দুপুরে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা সদরের সকাল বাজার এলাকায় মাজু মিয়ার নিজ বাস ভবনে। কিন্তু বিষয়টিকে ঘিরে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে নানান গুঞ্জন। নেপথ্যে অন্যকোন পক্ষ বা গোষ্ঠীর হাত থাকার বিষয়টি চাউর রয়েছে এলাকায়। বাড়ির ভাড়াটিয়াদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ মাজু মিয়ার প্রথম স্ত্রী আনু বেগম (৪০) ও তার স্বজন সেলিম মিয়া (৩৭) কে আটক করেছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নিহত মাজু মিয়া সদর ইউনিয়নের সৈয়দটুলা গ্রামের মৃত তারু মিয়ার পুত্র। গত ১৮ বছর যাবত তিনি সৌদী আরব থাকেন। তিন বছর যাবত পিতার সাথে সৌদী আরবে  অবস্থান করছে বড় ছেলে জাহাঙ্গীর। পিতা পুত্র এক সাথেই দেশে এসেছেন। পাঁচ বছর পূর্বে মাজু মিয়া সকাল বাজারে ৬/৭ শতক জায়গার উপর নির্মিত একটি তৈরী বিল্ডিং ক্রয় করেন। স্ত্রী আনু বেগম (৪০), ছেলে জাহাঙ্গীর (২৭), আকবর (২৬), মেয়ে শিল্পি (২২) ও লিপি (২৩)কে নিয়ে ওই ভবনেই বসবাস করছেন তিনি। এক বছর পূর্বে মাজু মিয়া সদরের বাগুসূতা গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্ত্রী তার দুই ছেলে নিয়ে থাকেন বাগুসূতা গ্রামে। গতকাল সোমবার সকাল থেকেই ভবনের আন্ডার গ্রাউন্ডে ইলেকট্রিক ওয়ারিং-এর কাজ করছিল মিস্ত্রিরা। কাজ দেখাশুনা করছিলেন বাপ ছেলে। হঠৎ করে নীচে চিৎকার শুনে সুফিলা বেগম ও অন্য সন্তানরা দৌড়ে যান। রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধ মাজু মিয়াকে উদ্ধার করে তারা সরাইল হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার দ্রুত অবনতি দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মাজু মিয়ার মৃত্যুর খবরে ভাড়াটিয়াদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভাড়াটিয়া আসমা বেগম (৩০) বলেন, আমরা নিজেদের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ দেখি উনাকে তার স্ত্রী ছেলে মেয়েরা কুলে করে নিয়ে যাচ্ছে। সমস্ত শরীর রক্তাক্ত। বড় স্ত্রী আনু বেগম বলেন, আমার স্বামী বিদেশ থেকে ফর্দা এনেছিল। ফর্দা না পেয়ে আমার উপর চড়াও হয়ে মারধর করে। এ সময় বড় ছেলে জাহাঙ্গীর তার বাবাকে (মাজু মিয়া) ছুরিকাঘাত করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশপাশের একাধিক লোক জানান, তারা পিতা পুত্রের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দশ মিনিট আগেও দু’জন এক মটর সাইকেলে করে বাড়িতে প্রবেশ করেছে। বাড়ির ভেতরে বেশ কয়েকজন অপরিচিত লোক ছিল। ঘটনার পর তারা দ্রুত সটকে পড়েছে। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঘটনার সাথে তার ছেলে জড়িত ছিল। জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরুধের জের ধরে এ হত্যা কান্ড ঘটে থাকতে পারে। অন্যকারো সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি।






Shares