সরাইল-নাসিরনগর সড়কের বেহালদশা ॥ বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি
প্রতিনিধি॥ দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কাজ না হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-নাসিরনগর সড়কের বেহাল দশা। খানা খন্দে সড়কের প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকা। সামান্য বৃষ্টি হলেই এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে। এতে করে একদিকে যানবাহন বিকল হচ্ছে অপর দিকে জনগনের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। এই রাস্তাটি হচ্ছে সরাইল ও নাসিরনগর উপজেলাবাসীর জেলা সদরে আসা-যাওয়ার প্রধান রাস্তা। সরেজমিনে দেখা যায়, সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই সড়কের সরাইলের কুট্টাপাড়ার মোড় থেকে কালীকচ্ছ বাজার পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি পরিণত হয়েছে মরন ফাঁদে। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে সরাইল ও নাসিরনগর উপজেলার লোকজন জেলা সদরে আসা-যাওয়া করে। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার বড় বড় গর্তে পানি জমে। এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে লোকজন সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়ে, যানবাহন বিকল হয়। উপজেলার কালীকচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা রাশেদ হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় রাস্তাটি বর্তমানে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি তলিয়ে যায়। যান চলাচলে দুভোর্গের সৃষ্টি হয়। সরাইল সদরের বাসিন্দা মোঃ মাহবুব বলেন, সরাইলের কুট্টাপাড়ার মোড় থেকে কালীকচ্ছ বাজার পর্যন্ত রাস্তাটির বেহাল দশা। সরাইলের কুট্টাপাড়ার মোড় থেকে কালীকচ্ছ পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তা বর্তমানে যানচলাচলের সম্পূর্ন অনুপোযোগী। ঝুঁকি নিয়েই লোকজন চলাচল করেন। তিনি বলেন, কালীকচ্ছে রয়েছে ১২ ব্যাটালিয়ান বিজিবির সদর দপ্তর। রয়েছে একটি কলেজেসহ কয়েকটি মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। তিনি বলেন, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন নাসিরনগর উপজেলার ৬ ইউনিয়ন ও সরাইল উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মানুষ চলাচল করেছে। এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী সিএনজি চালিত অটোরিকসা চালক বাদল মিয়া ও কামাল মিয়া বলেন, সরাইলের কুট্টাপাড়ার মোড় থেকে কালীকচ্ছ পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা অবর্ণনীয়। এই রাস্তায় প্রায়ই যানবাহন বিকল হয়ে যায়। তারা বলেন, বর্তমানে বৃষ্টি বাদলের দিনে রাস্তায় হাটু পানি জমে। তারা অবিলম্বে রাস্তাটি সংস্কার করার দাবি জানান। সড়ক ও জনপথ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল আলম জানান, সড়কটি সংস্কার করার জন্য বাজেট নেই। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কাজ করে যাচ্ছি। |