Main Menu

নারী কেলেংকারী সরাইলে জামায়াত নেতাকে গণধোলাই

+100%-
প্রতিনিধিঃ পরকীয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে এক জামায়াত নেতাকে গণধোলাই দিয়েছে জনতা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সদর ইউনিয়নের পাঠানপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিজ স্ত্রীর অভিযোগে তাকে উপজেলা প্রেস কাব থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সরাইলে তোলপাড় চলছে।
গণধোলাইয়ের শিকার ওই জামায়াত নেতা হলেন, উপজেলা জামায়াতের বায়তুলমাল সম্পাদক মো. মুখলেছুর রহমান (৩৮)। তিনি উপজেলার ছোট দেওয়ানপাড়ার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে এবং দৈনিক সংগ্রাম প্রত্রিকার সরাইল উপজেলা প্রতিনিধি। এলাকাবাসী জানান, পাঠানপাড়ার এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে মুখলেছুর রহমানের দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। গতকাল দুপুরে পাঠানপাড়ার ওই গৃহবধুর নিজ বাসা থেকে তাদের দু’জনকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে মুখলেছুর রহমানকে দেওয়া হয় গণধোলাই। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান তিনি। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। সাবেক ইউপি সদস্য মো. হোসেন আলী জানান, আপত্তিকর অবস্থায় ধরার পর তাকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনার পুণরাবৃত্তি ঘটলে তাকে পুলিশে দেওয়া হবে। সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যা নাসরিন বেগম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জামায়াত নেতা মুখলেছুর রহমানকে গণধোলাই দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে আছেন।  
এদিকে সরাইল উপজেলা প্রেসকাবের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুর রহমান জানান,তার স্ত্রী পরকীয়ার বিষয়টি আমাদেরকে অবহিত করেন। আমরা ঘটনার সত্যতা পায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুখলেছ ক্ষেপে যান। তিনি বলেন এটা আমার পারিবারিক বিষয়। নারী কেলেংকারিতে জড়িয়ে পড়ায় ছয়মাস আগেই তাকে প্রেসকাবের সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মুখলেছুর রহমান উপজেলা জামায়াতের বায়তুলমাল সম্পাদক। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মুখলেছুর রহমান দাবি করেছেন তিনি ষড়যন্ত্রের স্বীকার। এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা কুতুব উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তারপরও আমরা এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি। সরাইল সদর ইউপির চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. কাজল মিয়া বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। সামাজিকভাবে বিষয়টির নিস্পত্তির চেষ্টা চলছে বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন।





Shares