সরাইলে ৩৮ লাখ টাকার প্রকল্পকাজ বাস্তবায়ন শুধুই কাগুজে
মোহাম্মদ মাসুদ সরাইল থেকে ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে নয় ইউনিয়ন পরিষদে দুইদফা ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকার নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের উন্নয়নকাজ কাগুজে-কলমে শতভাগ বাস্তবায়ন দেখানো হলেও বাস্তবে এসব প্রকল্পের কোন হদিস নেই।জানা গেছে, চলতি মাসের প্রথমদিকে উপজেলায় ভূমি হস্তান্তর কর (ওয়ান পার্সেন্ট) এর ১৯ লাখ ৩৮ হাজার টাকা এখানকার নয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উত্তোলন করেন এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ দেখিয়ে। এর আগে গত ফ্রেরুয়ারি মাসে একই পন্থায় চেয়ারম্যানরা কাজ দেখিয়ে নেন ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৮শ’ টাকা। অভিযোগ রয়েছে, দুইদফা ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার ৮শ’ টাকা উন্নয়নকাজের নামে উত্তোলনের পর ভাগবাটোয়ারা করা হয়েছে। এসব প্রকল্পকাজ সম্পন্ন দেখানো হয়েছে শুধুই কাগুজে। এই অনিয়মে সরাসরি মদদ দিচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সি.এ মো. রাসেল খন্দকার। তিনি ইউএনও’র নাম ভাঙ্গিয়ে ভূমি হস্তান্তর কর এর মোট টাকা থেকে দু’দফা প্রায় আট লাখ টাকা লুফে নেন ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে। এছাড়া প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কাজে কাগজপত্র তৈরীর নামে প্রায় চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় উপজেলা প্রকৌশলী দফতরের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান জানান, কাগুজে প্রকল্প দেখানো হলেও বাস্তবে ওয়ান পার্সেন্ট এর টাকায় কোন কাজ করা হয় না এটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেও জানেন। বরাদ্দের একটা অংশ বিভিন্ন দফতরে দেওয়া হয় ঘুষ হিসেবে। তারাই সবকিছুর সমাধান দেন। বাকি টাকা চেয়ারম্যান-সচিবসহ পরিষদের সদস্যদের মাঝে ভাগবাটোয়ারা করা হয়। চেয়ারম্যানরা আরো জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সি.এ রাসেল খন্দকারকে মোট বরাদ্দের ২০ ভাগ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী দফতরে দেওয়া হয়েছে ১০ ভাগ।বিভিন্ন ইউপির সচিব ও সদস্যদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ভূমি হস্তান্তর কর এর টাকায় মূলত কোনো কাজ করা হয় না। কাগুজে-কলমে এসব জায়েজ করতে সংশ্লিষ্ট দফতরের লোকদের চাহিদা মাফিক ঘুষ দেওয়া হয়। বেশি ঝামেলা হলে এল.জি.এসপি, এডিবি অথবা অন্যকোন বরাদ্দে সম্পন্ন করা কাজ দেখিয়েও এসব জায়েজ করেন ইউপি চেয়ারম্যানরা। এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করলে ইউএনও’র সি.এ মো. রাসেল খন্দকার বলেন, ভূমি হস্তান্তর কর এর অর্থ বরাদ্দ ও এই অর্থে নেওয়া প্রকল্পকাজ সম্পর্কে তথ্য দেওয়া সম্পূর্ন নিষেধ আছে। ইউএনও স্যারের অনুমতি ছাড়া আমি এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারছি না। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খান বলেন, এসব প্রকল্পকাজে অনিয়মের অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ কাজে আমার দফতরে ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি সঠিক নয়। |
« সকাল ১০ টা পর্যন্ত ছালাম ১২ টার পর ভিজিট (পূর্বের সংবাদ)
(পরের সংবাদ) নাসিরনগরে হরতাল পালিত »