প্রতিনিধিঃ সরাইলে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের উপর্যপুরি বেত্রাঘাতে মোঃ ইকবাল মিয়া (০৮) নামের শিশু শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কালিকচ্ছ সিরাজবাগ রহিমুননেছা ইসলামীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী মাদ্রাসা ঘেরাও করে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে। এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষক মাদ্রাসা ছেড়ে পালিয়েছে। তীব্র যন্ত্রনায় এখন ছটফট করছে ওই শিক্ষার্থী। ওদিকে বিষয়টিকে ধামা চাপা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে কিছু প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি। প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী জানায়, মাদ্রাসার হাফেজি বিভাগের আবাসিক ছাত্র ইকবাল মিয়া। সে কালিকচ্ছ নন্দীপাড়ার সাদু মিয়ার পুত্র। দুই বছর যাবৎ সে ওই মাদ্রাসায় পড়ছে। গত বুধবার রাতে অজানা কারনে ইকবালের মুখে কসটেপ পেঁচিয়ে প্রথম দফা বেত্রঘাত করেন শিক্ষক মাওলানা আশিকুর রহমান। তাকে সহায়তা করেন অপর শিক্ষক হাফেজ রবি উল্লাহ। গতকাল সকালে দ্বিতীয় দফা বেত্রাঘাত শুরু করেন। ইকবালের চিৎকারে মাদ্রাসার অন্যান্য ছাত্ররা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয় শতাধিক লোক মাদ্রাসা ঘেরাও করে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে গালমন্দ করে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে শিক্ষক মাদ্রসা ছেড়ে পালিয়ে যান। শিশু শিক্ষার্থী ইকবাল বলে, আমার সারা শরীর প্রচন্ড ব্যথা করছে। এমন মাইর জীবনেও খায়নি। কি কারনে হুজুর মারলো জানি না। মাদ্রসার প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মাহাদুল, শাব্বির ও তানুর জানায়, রাতে ইকবালকে হুজুর সামান্য মেরেছিল। সকালে দুই বেত একত্র করে হুজুর ইচ্ছামত পিটাইছে। অভিযুক্ত শিক্ষক আশিকুর রহমান শিশু শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করে আহত করার বিষয়টি স্বীকার করে উত্তেজিত হয়ে বলেন, এটা উস্তাদ ও শিক্ষকের ব্যাপার। তারপর তো কমিটিই আছে। মাদ্রসার অধ্যক্ষ মাওলানা বেলাল হোসেন বলেন, আমি মাদ্রাসায় ছিলাম না। বেত্রঘাত করার ঘটনাটি বড় ধরনের অন্যায়। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বহিস্কার করব। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ রফুজ আলী বলেন, এটা জঘন্য অপরাধ। অবশ্যই এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিছুজ্জামান খান, বেত্রাঘাত কেন, শ্রেণী কক্ষে বেত নিয়ে প্রবেশ করাই বেআইনী কাজ। তবে সামাজিক ভাবে বিষয়টির দৃষ্টান্ত মূলক বিচার করা প্রয়োজন। |