চাঁদা দাবীর অভিযোগে সরাইলে ইউএনও’ বিরুদ্ধে মিছিল, প্রত্যাহারের দাবী
সরাইল প্রতিনিধিঃ জামায়াত শিবির ও বিএনপির সাথে আতাত করে প্রশাসন চালানোর অভিযোগে গতকাল সকালে উপজেলা চত্বরে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিছুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে মিছিল করেছে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্ধ এবং বিক্ষুদ্ধ লোকজন। অভিযোগ উঠেছে শ্রমিক নেতাদের কাছে চাঁদা দাবীর। কথায় কথায় ইউএনও’র ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ করার আহবান জানিয়েছেন নেতৃবৃন্ধ। শিবির ক্যাডার ইউএনও কে সরাইল থেকে দ্রুত প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন বক্তারা। অন্যথায় লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে অর্ধশতাধিক লোকের একটি মিছিল উপজেলা চত্বরে প্রবেশ করে। উপজেলা পরিষদের সামনের রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ইউনও’র বিভিণœ শ্লোগান দিতে থাকে বিক্ষুদ্ধ লোকজন। মিছিলে নেতৃত্ব দেন আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্ধ। এ সময় ইউএনও নিজ দপ্তরে বসে কাজ করছিলেন।“জামায়ত শিবির পন্থী ঘুষ খোর ইউএনও সরাইল বাসী চায় না”।“ইউএনও আনিছ সরাইল ছাড়, সরাইল কি তোর বাব দাদার” “ইউএনও’র দালালরা হুশিয়ার সাবধান”। ইত্যাদি শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে গোটা অফিস পাড়া। বেলা ১২টায় আওয়ামীলীগ নেতা হাজী ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথ সভায় বক্তব্য রাখেন- যুবলীগ নেতা কাজী আমিনুল ইসলাম শেলভী, মোঃ শের আলম, মোঃ হানিফ মিয়া, মোঃ কাইয়ুম ও শ্রমিক লীগ নেতা হানিফ। বক্তারা বলেন, ইউএনও সরাইলে যোগদানের পর থেকেই জামায়াত শিবির ও বিএনপি’র সাথে আতাত করে প্রশাসন চালাচ্ছেন। আ’লীগের কাউকে তিনি পাত্তাই দিচ্ছেন না। তিনি ঘুষ ছাড়া কোন কাজ করেন না। উপজেলা সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি করেছেন স্বাধীনতা বিরুধী জামায়াত বিএনপির সাথে পরামর্শ করে। ওই কমিটিতে ইউএনও জামায়াতের উপজেলা আমীর সহ তিন জনের নাম অন্তভ’ক্ত করেছেন। তিনি কৌশলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদেরকে দুই ভাগে বিভক্ত করে রেখেছেন। উপজেলার যে কোন কমিটি তিনি তার একক সিদ্ধান্তে গঠন করেন। ইউএনও’র আচরনে ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ১১ মার্চ প্রস্তুতি সভা বয়কট করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, আ’লীগের অঙ্গ সংগঠন ও ইউপি চেয়ারম্যানরা। বক্তারা ইউএনওকে কুলাঙ্গার আখ্যায়িত বলেন, স্বাধীনতা দিবসে তার সকল কর্মসূচী প্রত্যাখ্যান করলাম। তারা আলাদা ভাবে কর্মসূচী পালনের ঘোষনা দিয়েছেন। শ্রমিক নেতা হানিফ অভিযোগ করে বলেন, সিএনজি ষ্ট্যান্ডে একটি টিনের শেড তৈরী করায় ইউএনও আমাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছেন। প্রশাসনের বিভিন্ন লোক লেলিয়ে দিয়েছেন। তারা ইউএনও কে অতিদ্রুত সরাইল থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবী জানান। অন্যথায় লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচী দেয়ার ঘোষনা দিয়েছেন বক্তারা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিছুজ্জামান খান বলেন, সরকার দলীয় লোকদের সাথে সমন্বয় করে আমি সবকিছু করছি। কিছু লোক আমাদের বিরুদ্ধে য়ড়যন্ত্র করছে। সন্ত্রস প্রতিরোধ কমিটিতে জামায়াত নেতাদের নাম অন্তর্ভূক্ত করা তাদের সাথে আতাত করে প্রশাসন চালানোর প্রশ্নে তিনি কোন উত্তর দেননি। |
« সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল (পূর্বের সংবাদ)
(পরের সংবাদ) নতুন ঘর করা হলো না মামুনের »