সরাইলে ভূয়া এনজিও, ৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র
প্রতিনিধি : সরাইলে ‘পল্লী নারী জাগরণ সংস্থা’ নামে একটি ভূয়া এনজিও’র সাইনবোর্ড টানিয়ে প্রতারক চক্র মাসিক কিস্তিতে ঋণ দেয়ার নামে গ্রামের সহজ-সরল নারী-পুরুষদের কাছ থেকে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এলাকাবাসী জানান, উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ওরফে কাছম আলীর বাড়িতে গত কয়েকদিন আগে এই ভূয়া এনজিও’র কার্যক্রম শুরু হয়। এনজিও’র লোকেরা (প্রতারক চক্র) গত বৃহস্পতিবার এলাকার সাধারণ মানুষের আমানত লাখ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়। ভূক্তভোগী পাকশিমুল গ্রামের ফুলবানু বেগম জানান, এনজিও’র লোকেরা মাসিক কিস্তিতে এক লাখ টাকা ঋণ দেয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় নেয়। ফুলবানু ছাড়াও গ্রামের জনাব আলী, মানজু মিয়া, সুফিয়া বেগমসহ অনেকে জানান, আবুল কাশেম পাকশিমুল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যানের বাড়িতে এনজিও’র অফিস, টাকা কখনো মার যাবে না। এমন বিশ্বাসে আমরা সকলেই টাকা-পয়সা জমা দিয়েছি। তাছাড়াও চেয়ারম্যানের বাড়ির লোকজন টাকা জমা দিয়ে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে আমাদের উৎসাহ দিয়েছেন। তবে আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কাশেম দাবি করেন, কিছুদিন আগে কয়েকজন লোক এনজিও অফিস করতে বাড়ী ভাড়া নিতে আসে। আমি সাফ জানাই বৈধ কাগজপত্র নিয়ে আসলে বাড়ি ভাড়া দেওয়া হবে। পরে জেনেছি আমার ছোট ভাই মৌলু মিয়া তাদের বাড়ি ভাড়া দিয়েছে। অপরদিকে মৌলু মিয়া জানান, তিনি দীর্ঘ দিন যাবত বিদেশে চাকুরি করছেন। বর্তমানে ছুঁটিতে বাড়িতে আছেন। এনজিও অফিসের জন্য তিনি বাড়িভাড়া দিতে রাজি ছিলেন না। বড় ভাই আবুল কাশেম ও তার ছেলের চাপাচাপিতে তিনি তাদের বাড়ি ভাড়া দিতে বাধ্য হন। মৌলু মিয়া আরো জানান, তারা বাড়িভাড়া মাসিক ৪ হাজার টাকা ও এককালীন জামানত ১০ লাখ টাকা দিবে বলেছিল। টাকা দেয়ার আগেই প্রতারকরা এলাকার লোকদের অন্তত ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হক জানান, প্রতারক চক্র ঋণ দেয়ার কথা বলে ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের শত শত লোকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। ইউপি চেয়ারম্যান আরো জানান, ভালভাবে না জেনে না বুঝে তাদের কাছে বাড়িভাড়া দেয়া উচিত হয়নি। |