Main Menu

সরাইল মুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় নেই কোনো মুক্তিযোদ্ধা

+100%-

৮ই ডিসেম্বর ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে সরাইল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়। দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় ছিলেন না কোনো মুক্তিযোদ্ধা। যদিও আলোচনা সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, দাওয়াত পায়নি। আর ইউএনও বলছেন, দাওয়াত দিয়েছি।
পূর্ব ঘোষিত সময় অনুসারে সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় সরাইল মুক্ত দিবসের আলোচনা সভা। সভায় উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিরাজুম মুনীরা কায়ছান, সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মো. আনিছুল ইসলাম ঠাকুর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল মাহমুদ আলী, বাজার কমিটির সভাপতি মাওলানা কুতুব উদ্দিন, উপজেলা জামায়াতের সম্পাদক মো. এনাম খান প্রমুখ।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় আমরা দাওয়াত পাইনি। বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভা ও আইন-শৃঙ্খলা সভায়ও দাওয়াত পাইনি। ত্রিতাল সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ লেখক গবেষক ও সাহিত্যিক সঞ্জিব কুমার দেবনাথ বলেন, প্রতি বছরই দাওয়াত পাই। এবার কেন জানি পেলাম না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের দাওয়াত দিয়েছি। উনারা আসেননি। উনারা সম্ভবত নিরাপত্তাবোধ করেন না।