Main Menu

ঘটনাস্থল নিয়ে দুই থানার টানাটানি

সরাইল-নাসিরনগর সড়কে ডাকাতি

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কে ডাকাতি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা রাতেই ওই সড়কের ভূঁইয়ার ঘাটের পাশে যাত্রীবাহী সিএনজি চালিত অটোরিকশায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ৫ যাত্রীকে পিটিয়ে আহত করে লক্ষাধিক টাকার মালামাল ছিনিয়ে নিয়েছে ডাকাতদল।

ঘটনাস্থল নিয়ে থানার বক্তব্যে রয়েছে ভিন্নতা। নাসিরনগর থানা ঘটনাস্থল সরাইল বললেও সরাইল থানা পুলিশ বলছেন ঘটনাস্থল নাসিরনগর এলাকায়। ডাকাতের কবলে পড়া আহত যাত্রীরা জানায়, বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব তারা নাসিরনগরের গোকর্ণ শ্বশুরবাড়ি থেকে সরাইলে আসার উদ্যেশ্যে স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ওই সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ওঠেন আলাউদ্দিন। সিটে বসে টাকা ও গণনা করেছিলেন তিনি। কুন্ডা এলাকা পাড় হওয়ার পরই দ্রুত গতিতে পেছন থেকে দুটি অটোরিকশা এসে তাদের অটোরিকশাটিকে আগে পিছে ঘেরাও করে ফেলে। পরে সিএনজি ২টি থেকে নেমে মুখোষধারী একদল ডাকাত তাদের অটোরিকশাটি আটক করে। এ সময় আলাউদ্দিনদের বহনকারী সিএনজির চালক পালিয়ে যায়। দেশীয় অস্ত্রের মুখে তারা যাত্রীদের জিম্মি করে ফেলে। প্রথমেই একজন আলাউদ্দিনকে বলে ৩৬ হাজার টাকা দিয়ে দাও। একটু গড়িমসি করা মাত্র আলাউদ্দিন সহ সকল যাত্রীদের কূপিয়ে ও এলাপাতাড়ি খুচিয়ে আহত করে নগদ ৩৬ হাজার টাকা, ১চি ডিএসএলআর ক্যামেরা, স্বর্ণালঙ্কার, মুঠোফোনসেট সহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ছিনিয়ে সটকে পড়ে। পথচারীরা সিএনজিটি সহ আহতদের উদ্ধার করে কালীকচ্ছ বাজারে নিয়ে আসে। সরাইল থানা পুলিশ রাতেই ডাকাতির কবলে পড়া অটোরিকশাটি (বি-বাড়িয়া-থ-১১-১৩১৯) তাদের জিম্মায় নিয়ে যায়। আহত আলাউদ্দিন তার স্ত্রী সহ অন্যরা সরাইল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি সরাইল নয়। নাসিরনগরের কুন্ডা এলাকায় ঘটেছে। যাত্রীরাও কুন্ডার কথাই বলেছে। অটোরিকশাটি আটক করেছি।
ওদিকে নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজিদুর রহমান বলেন, এ ধরণের ঘটনা আসলে ডাকাতি নয়, ছিনতাই। শুনেছি গত বৃহস্পতিবার রাতে সরাইল থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। গাড়িটি যখন আটক হয়েছে। ডিটেক্ট করতে অনেকটা সহজ হবে।






Shares