সরাইল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী পায়েল মৃধা
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত যুব রাজনীতি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্বচ্ছ ও শক্তিশালী যুবলীগ গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন সরাইল উপজেলার যুবলীগের সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রার্থী মোঃ পায়েল হোসেন মৃধা। তিনি বলেন, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা ‘বঙ্গবন্ধু’ শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। যে কারণে যুবলীগের প্রতিটি কর্মি এক অনন্য গৌরবের উত্তরাধিকার বহন করে চলেন হৃদয়ের গভীরে।
পায়েল হোসেন মৃধা আরো বলেন, আওয়ামী যুবলীগকে আরও শক্তিশালী সংগঠনে রুপদানের মধ্যদিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী হয়েছি।
আমার এ স্বপ্ন পুরণে যুবলীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে আমার সাথী হিসেবে পেতে চাই। আমার স্বপ্ন শুধু একটাই, এলাকার খেটে খাওয়া ও দুঃখী মানুষের মাঝে জীবনটা উৎসর্গ করে তাদের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে বেঁচে থাকা।
তাই তিনি সর্বস্তরের জনগনের দোয়া কামনা করছেন ও আগামী যুবলীগের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু আর্দশের আওয়ামী পরিবারের সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।
পায়েল হোসেন মৃধা বলেন, স্কুল জীবন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আর্দশ বুকে ধারণ করে ২০০৪ সালে এসএসসি পাস করে সরাইল সরকারি কলেজে ভর্তি হয়ে ছাত্র রাজনীতির আবির্ভাব। তখণকার বিএনপি জামাত সরকার আহসানউল্লাহ মাস্টার সাবেক অর্থমন্ত্রী এসএস কিব্রিয়া সহ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উপর শোষণ, হত্যা ও গুমের প্রতিবাদে কলেজ প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ মিছিল করি। উক্ত কলেজ থেকে ২০০৬ সালে এইচএসসি, ২০১০ সালে স্নাতক ও ২০১২ সালে সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে স্নাতকত্তর ড্রিগি লাভ করি। ফকরুদ্দিন ও মইনউদ্দিন এর শাসন আমলে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি চেয়ে রাজপথে মিছিল করি।
কলেজ ছাত্রলীগের পাশাপাশি সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগে সক্রিয় অংশগ্রহণ,দীর্ঘ আট বছর রাজনীতি কারার পর ২০১২ সালে সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সক্রিয় ভাবে দায়িত্ব পালন করি। ২০১৬ সাল থেকে সরাইল উপজেলা আওয়ামী যুব লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে এখন পর্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করছি। ২০১৬ সালে ১৩১ বছর পর জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সরাইল বাসির ভালবাসায় বিপুল ভোট পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়। বৈষিক মহামারী করোনা মোকাবেলাই সরকারি খাদ্যসামগ্রীর পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও খাদ্যসামগ্রী সহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করি। সরকারি অর্থায়নে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছি। পারিবারিক ভাবে আমার বাবা একজন আওয়ামী সাপোর্টার আমার চাচা ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা। আমার চাচাতো ভাই এহসান উল্লাহ মাসুদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি ও আরেক চাচাতো ভাই ইখতিয়ার হোসেন মধৃা রিপন সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। আমার মামাতো ভাই কাজী সালাউদ্দিন পিন্টু সরকারি তিতুমীর কলেজের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা মুহাম্মদ হোসেন ১৯৭৪ সালে সেভেন্ট মার্ডারে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়। ২০০৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সরাইল উপজেলায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ডে আমার উপস্থিতি ছিল। তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভালোবাসার কারনে আজকের এই অবস্থান। সবার ভালোবাসা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আমি মনেকরি বাংলাদেশ আয়ামীলীগ সংগ্রামী চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হাসান খান নিখিল ভাইয়ের নেতৃত্বে ক্লিন ইমেজ ও ত্যাগী নেতারাই জেলা ও উপজেলার নেতৃত্বে আসবে। আমি স্বচ্ছ রাজনীতি করি বঙ্গবন্ধু আদর্শকে বুকে লালন ও ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে বাস্তবায়ন করতে আমি দৃঢপ্রতিজ্ঞ । তাই আমি মনেকরি আগামী সরাইল উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলনে আমার দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক ত্যাগের মূল্যায়ন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী যুবলীগ এর সঠিক বিবেচনা ও মূল্যায়ন করবে।