Main Menu

সরাইলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় ওসি-আ’লীগ সভাপতির বাকযুদ্ধ

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ,সরাইল : সরাইল উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে দ্রুত সাংবাদিক সম্মেলন করার ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও মহিলা আ’লীগের সভাপতি রোকেয়া বেগম।

শনিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।

সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন টিটো রোকেয়া বেগমের বক্তব্যের উত্তর দেওয়ায় উপস্থিত লোকজন বুঝতে পারলেন জনপ্রতিনিধির অভিযোগের তীর ওসি’র দিকে।

ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম বলেন, বর্তমান সময়ে কিছু কর্মকর্তা জামায়াত ও রাজাকারের উত্তরসূরিদের নিয়ে কম্বল বিতরণসহ নানা অনুষ্ঠান করেন। উনারা (প্রশাসন) মনে করেন আমরা এ গুলি বুঝি না। জানি না। আমরা সবকিছু জানি। আমি আজকের এই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় সকলের উদ্যেশ্যে ঘোষণা দিলাম এ সকল বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে জাতিকে জানাব। এ ভাবে আর চলতে পারে না।

পরক্ষণেই বিশেষ অতিথির বক্তব্য দিতে দাঁড়ান অফিসার ইনচার্জ মো. শাহাদাত হোসেন টিটো। তিনি বলেন, আমরা অনেক দূর দূরান্ত থেকে এখানে চাকরি করতে এসেছি। এখানে এসেই কে কি? সেটা জানা তো সম্ভব না। সম্পূর্ণ অজান্তে আমার পাশে দাঁড়িয়ে যদি কোন মাদকসেবী বা খারাপ লোক ছবি তুলে ফেলে আমার কি করার আছে? আপনারা যারা এখানের স্থায়ী বাসিন্ধা। সমাজ পরিচালনা করছেন। আপনারা আমাকে জানিয়ে সহযোগিতা করবেন। আর আমি দাঙ্গা প্রতিরোধে গ্রামে গ্রামে সভা করছি। আপনাদের লোকজন বলছেন, নিজেদের স্বার্থে সরাইলে দাঙ্গা লাগিয়ে রাখেন কতিপয় সালিসকারক। আপনারা যদি মনে করেন এ কাজে এর চেয়ে ভাল কোন পরিকল্পনা আছে। আমার দরজা আপনাদের জন্য খোলা। থানায় আসুন। আমাকে পরিকল্পনা দেন। আর যদি বলেন, অন্যান্য ওসিদের মত থানায় বসে ব্যবসা করতে। আমি তাই করব।

ওসি বলেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম নিজ হাতে কফি বানিয়ে আমাকে খাওয়ান। হঠাৎ করে আজকে কেন এমন বক্তব্য দিলেন বুঝলাম না। আশা করি উনার ভুল ভেঙ্গে যাবে।

ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা প্রিয়াংকার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর। এ ছাড়াও সভায় সরকারি কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষক সহ নানা স্তরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।






Shares