যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা
সরাইলে যত্রতত্র চলছে এলপি গ্যাসের ব্যাবসা



মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার যত্রতত্র চলছে এলপি গ্যাসের ব্যাবসা। কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে ব্যাবসা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো বাড়ছে এলপি গ্যাস বিক্রির দোকান যা চোখে পরার মত।
মানুষ দিন দিন সৌখিন হচ্ছে, আগে কাঠ পুড়িয়ে মাটির চুলায় রান্না হতো। আর এখন দিন যত গড়াচ্ছে মানুষ ততই আধুনিক হচ্ছে। আর এর ফলশ্রুতিতে বাড়ছে এলপি গ্যাসের ব্যাবহার।
সরেজমিনে দেখা যায় সরাইল উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ছোট বড় দোকান । প্রতিদিনই বাড়ছে এলপি গ্যাসের ব্যাবহারের চাহিদা। কিন্তু এইসব দোকানে এলপি গ্যাসের বোতল বিক্রির নেই কোন অনুমোদন। তবুও চালিয়ে যাচ্ছে এই ঝুঁকি পুর্ন এলপি গ্যাসের ব্যাবসা। বিশেষ করে সড়ক মহসড়কের পাশে রাখা হয়। কালিকচ্ছ,শাহবাজপুর, মলাইশ,আঁখি তারা, পানিশ্বর, বেড়তলা, চুন্টা, ভুইশ্বর, পাক শিমুল, অরুয়াইল বাজারে অবাধে চলছে এই ব্যাবসা। মুদি দোকান, ফোন ফ্যাক্সের দোকান, হার্ডওয়্যারের দোকান, ক্রোকারিজ , রড-সিমেন্ট ও কনফেকশনারি দোকানের সামনে রেখে চলছে এলপি গ্যাসের ব্যাবসা। যার কারনে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের অগ্নিকান্ডের মত দুর্ঘটনা।
এদিকে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশে বেড়তলা নামক স্থানে খোলা আকাশের নীচে একচালা টিনের ঘরে বসে চালিয়ে ব্যাবসা। দোকানের মালিক মোঃ আলী ‘র কাছে এভাবে খোলা আকাশের নীচে ব্যাবসা করার অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
এই বিষয়ে উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্ব প্রাপ্ত রিডার মোঃ ফারুকুল ইসলাম ভুইয়া জানান, আসলে উপজেলার বিভিন্ন যায়গায় চোখে পড়ে দোকানের সামনে এলপি গ্যাসের ব্যাবসা। যার কারনে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। আর এইভাবে চলতে দেয়া যায়না কারণ বোতল যাত গ্যাস (এলপি গ্যাস) বিক্রির জন্য কিছু নিয়ম কানুন আছে। লাইসেন্স ছাড়া কেউ এই ব্যাবসা চালিয়ে যেতে পারে না। এইটা সকলের জন্য ঝুঁকি পুর্ন, যত্রতত্র এই ব্যাবসা চালিয়ে যাওয়া সম্পুর্ন ভাবে বেয়াইনী।
স্থানীয় কয়েক জন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন মানুষের জীবন মানের পরিবর্তন আসছে এইটা ভালো দিক। আমাদের মা চাচীরা আগে লাকড়ি সংগ্রহ করে মাটির চুলায় রান্না করতো কিন্তু এখন আর সেইটা খুব একটা চোখে পড়ে না। সবাই চায় এক বোতল এলপি গ্যাস নিয়ে রান্নাবান্নার কাজ সারতে, আমরা মানুষ খুবই আরাম প্রিয়। তবে এই গ্যাস সিলিন্ডার গুলোর জন্য একটা নির্দিষ্ট নীতিমালার প্রয়োজন কারণ কেউ চাইলেই যেন যত্রতত্র এর ব্যাবসা চালিয়ে যেতে না পাড়ে।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম মোসা এই বিষয়ে কোন সুনির্দিষ্ট কথা বলতে পারে নাই। তবে তিনি বলেন বড় পরিসরে করতে গেলে অগ্নি নির্বাপক ব্যাবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে।