সরাইলে মাইক্রোবাস ও কোচের মুখোমুখি সংঘর্ষ: মাইক্রোবাস চালক নিহত, আহত ১৬



ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলে প্রাণ কোম্পানির মাইক্রোবাস ও হানিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি কোচের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে চালক আবদুল জলিল মিয়া (৩৫)। কোম্পনির বিক্রয় বিভাগের (রকার গ্রুপ) প্রধান কামাল হোসেন সহ আহত হয়েছেন ১৬ জন।
গতকাল দুপুর ১টার দিকে মহাসড়কের ইসলামাবাদ (গোগদ) নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিশ্বরোড হাইওয়ে থানার পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত যাত্রী সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কে সিলেট থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী কোচের (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৫-১৩৮৭) সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা প্রাণ কোম্পানির একটি মাইক্রোবাসের (ঢাকা-মেট্রো-গ-৬৯০৬) মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ফলে যাত্রীসহ কোচটি সড়কের পাশের বিদ্যুতের একটি খুঁটি ভেঙ্গে পাশের খাদে পড়ে যায়। আর মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই নিহত হয়ে চালককে তার আসনেই আটকে থাকতে দেখা যায়। আর কোচের যাত্রীদের আশপাশের লোকজন এসে টেনে বের করে বিভিন্ন হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকে পাঠায়। নিহত মাইক্রো চালকের বাড়ি নোয়াখালির মাইজদি। সে প্রাণ কোম্পানিতে চাকরি করত। কোম্পানির বিক্রয় বিভাগের প্রধান কামাল হোসেনকে (৪০) নিয়ে সিলেট যাচ্ছিলেন। কামাল হোসেনের বাড়ি কুমিল্লায়। বিশ্বরোড হাইওয়ে থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন চালকের লাশ উদ্ধার করে ও মহাসড়কে যানজট নিরসনে কাজ করে। দুর্ঘটনায় উভয় গাড়ির ১৬ জন যাত্রী আহত হয়েছে। বিশ্বরোড মোড় হাইওয়ে থানার এস আই আবদুল হক বলেন, সম্ভবত কোচটি কোন সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে ওভারটেক করেছিল। আর এ কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।