সরাইলে ভ্রাম্যমান আদালত:: জরিমানা ৫২ হাজার ১’শ টাকা
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ সরাইলে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে শপিংমল খোলা রাখার দায়ে ক্রেতা-বিক্রেতাকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। গত মঙ্গল (১২ মে) সকালে সরাইল বিকাল বাজারের (বকুলতলা) শপিংমলের ভেতরে মহিলা ক্রেতা প্রবেশ করিয়ে কাপড় বিক্রির সময় হাতে নাতে ধরে ফেলেন প্রশাসন। ফলে বিক্রেতাদের সাথে ৬ মহিলা ক্রেতাকেও জরিমানা করেছেন আদালত। মোট জরিমানা করা হয়েছে ৫২ হাজার ১’শ টাকা।
নির্বাহী কর্মকর্তার দফতর সূত্র জানায়, উপজেলা প্রশাসন, ইউপি চেয়ারম্যান ও সরাইল বাজার কমিটির সভার সিদ্ধান্তে সকল শপিংমল বন্ধ রাখার আদেশ দিয়েছেন প্রশাসন। এ আদেশকে অমান্য করে গত ৩-৪ দিন ধরে সরাইল সদরের সকল শপিংমল অভিনব কৌশলে ক্রেতার সমাগম ঘটিয়ে বিক্রয়ের কাজ করছেন দেদারছে। আর অতি উৎসাহি হয়ে অনেক মহিলা শিশু বাচ্চাদের নিয়ে সার্টার টেনে দোকানের ভেতরে ৬-৭ জন এক সাথে বসে মালামাল ক্রয় করছেন। এতে করোনা সংক্রমনের সম্ভাবনা খুব বেশী। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আচমকা অভিযান চালান নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এ এস এম মোসা। এ সময় সকল ব্যবসায়ি তড়িগড়ি করে দোকানের ফেলে বন্ধ করে দেন। আর ভেতরে আটকা অগণিত মহিলা ক্রেতা। দীর্ঘ সময় পর দোকান খুলে দিলে ডজনের ডজন মহিলা বের হতে থাকে। এ সময় বিসমিল্লাহ গার্মেন্টস্, ছাইমা গার্মেন্টস্, সরাইল সুজ সাকিব ফ্যাশনকে ১০ হাজার করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। জোনাকি সুজ ও লিটনের কাপড়ের দোকানকে জরিমানা করেন ৫ হাজার ৫’শ টাকা।
আর মহিলা ক্রেতা পানিশ্বর ইউনিয়নের বলিবাড়ির সিরাজুল ইসলামের মেয়ে শারমিনকে ২’শত, আলী মিয়ার মেয়ে নাজমিনকে ২’শত, সিদ্দিক মিয়ার মেয়ে আখিঁ আক্তারকে ২’শত, সরাইল সদরের সৈয়দটুলা গ্রামের হাফছা ও শিরিনকে ৫’শ করে মোট ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নকল জনসন ক্রিম রাখার দায়ে আরমান ষ্টোরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এএসএম মোসা বলেন, সামান্য লাভের কথা চিন্তা করে গোটা সরাইলকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া যাবে না। বেপরোয়া ক্রেতা বিক্রেতাকে ঠেকাতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।