সরাইলে পুলিশকে মারধর করার অভিযোগ:: ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
সরাইল প্রতিনিধি ॥ সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের এক বছর আগে বিলুপ্ত কমিটির সহসভাপতি ছানাউল্লাহ গিয়াস উদ্দিন ওরফে সেলুর (৩২) বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে গত সোমবার সকালে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। স্থানীয় সাংসদ (সরাইল-আশুগঞ্জ) ও জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউল হক মৃধার নিরাপত্তায় নিয়োজিত এক পুলিশ সদস্যকে সাংসদের সামনে মারধর করার অভিযোগে সরাইল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত রোববার সন্ধ্যায় সাংসদ জিয়াউল হক মৃধা দলীয় কয়েকজন নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার মলাইশ গ্রামে যাচ্ছিলেন। এসময় সাংসদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন এএসআই আমজাদ হোসেন ও কনস্টেবল রবিউল। রাত পৌনে সাতটার দিকে সরাইল উপজেলা সদরের উচালিয়াপাড়া মোড়ে পৌঁছালে ছানাউল্লাহ গিয়াস উদ্দিন সাংসদের গাড়ির গতিরোধ করেন। এসময় প্রথমে কনস্টেবল রবিউল ও পরে এএসআই আমজাদ হোসেন তাঁকে রাস্তা থেকে সরে যেতে বলেন। এক পর্যায়ে ছানাউল্লাহ গিয়াস উদ্দিন রবিউল আওয়ালকে মারধর করতে থাকেন। পরে এএসআই আমজাদ হোসেন তাকে আটক করতে গেলে সটকে পড়ে।
এ ঘটনায় আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে ছানাউল্লাহ গিয়াস উদ্দিনকে একমাত্র আসামি করে পুলিশ সদস্যকে মারধর ও সরকারি কর্তব্য-কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে ছানাউল্লাহ গিয়াস উদ্দিন গা ঢাকা দিয়েছেন। তিনি মুঠোফোনে বলেন, আমি পুলিশকে মারধর করিনি, তার সাথে আমার কথা কাটা-কাটি ও ঠেলাঠেলি হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সরাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলীম বলেন, তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। মামলা হওয়ার পর আমামি এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।