সরাইলে কয়েন নিয়ে বিপাকে ক্রেতা-বিক্রেতা
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল : ব্রাহ্মনবাড়িযার সরাইলে ধাতব মুদ্রা( কয়েন) নিয়ে বিপাকে আছে ক্রেতা-বিক্রেতারা। ক্রেতাদের কাছ থেকে বিক্রেতারা ১ টাকা থেকে শুরু করে ৫ টাকা পর্যন্ত কোন ধাতব মুদ্রা গ্রহণ না করায় বিপাকে পড়ছে তারা। দ্রব্যমূল্যের উর্ধবগতি ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতে গত দু-এক বছর ধরে এক টাকার নোট বিলুপ্ত হওয়ার পর এক টাকার কয়েন স্বল্পতায় দোকানদার ও ক্রেতাকে ১ টাকা মূল্যের একটি চকলেট ধরিয়ে দিত । এতে করে বিক্রেতাদের মধ্যে প্রায়ই নানা রকম ঝামেলা সৃষ্টি হত।
কিন্তু বাজারে এখন এক টাকা-দুই টাকা ও পাচঁ টাকা মূল্যের কয়েনে ভরপুর থাকলেও দোকানিদের মনগড়া অজুহাতে বিপাকে পড়ছে ক্রেতারা। সরাইল প্রাত:বাজারে আসা রসুলপুর গ্রামের ক্রেতা জনাব হারুনুর রশিদ বলেন,দেশটা কি বদলাইয়া গেল নাকি যে পয়সা( কয়েন) চলবে না? আমি বাজারের এক দোকানিকে ৩০ টাকার মালামাল কিনে ৫ টাকা কয়েন দিলাম ( ৩০ টাকা)। আর দোকানি কয়েন ফিরিয়ে দিয়ে বলেন, নোট দেন,কয়েন চলে না। ওই দোকানি বলেন,এইসব কয়েন এখন কোন সরকারী -বেসরকারি ব্যাংক গ্রহণ করতে চায় না। কালীকচ্ছ বাজারের সবজি ব্যবসায়ী শফিক জানান, এগুলো রেখে কি হবে সরকার কখন যে আবার বন্ধ করে দেয় কে জানে? তাই এই সব কয়েন রেখে টাকা গচ্ছিত দিতে চাই না। কালীকচ্ছ বাজারের পান দোকানী অচি উদ্দিন বলেন, কয়েন দেখিয়ে বলেন আমার কাছে ১,২,৫ কয়েন কয়েক হাজার টাকা আছে ক্রেতারা নিচ্ছেনা এখন কি করি।
এ ব্যাপারে কালীকচ্ছ বাজার কৃষি ব্যাংকের ব্যাবস্থাপক মো. জামান সেখ জানান,ব্যাংকে কয়েন ( ধাতব মুদ্রা) গ্রহণ করে না, এ কথা একেবারে ভিত্তিহীন। আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমদিত যে কোন মুদ্রা লেনদেন করি। গ্রাহকরা বরং কখনো ছেঁড়া নোট নিয়ে আসলেও আমরা গ্রহণ করে থাকি। যদি কেউ ব্যাংক সম্পর্কে মানুষকে ভিত্তিহীন ধারনা দেয় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।