সরাইলে এ প্রথম মাল্টা চাষ



মোহাম্মদ মাসুদ,সরাইল ॥ মাল্টা পাহাড়ি ফল হিসেবে পরিচিত হলেও সমতল ভূমিতে রয়েছে এ ফলের ব্যাপক সম্ভাবনা । বাণিজ্যিকভাবে এ দেশের মাটিতে চাষ হচ্ছে বারি-১ জাতের মাল্টার। মাটির গুনাগুন মান ও চাষ পদ্ধতি ঠিক থাকলে মাল্টা চাষ করে লাভবান হতে পারেন কৃষকরা। কোনো ধরনের রাসায়নিক ছাড়া সবুজ রঙের মাল্টা স্বাদে ও মানে ভালো হওয়ায় বাজারে এর চাহিদাও বেশি। মাল্টার বাইরের অংশ গাঢ় সবুজ আর ভেতরটা মিষ্টি রসে ভরপুর। দেশের সহজলভ্য একটি ফল হচ্ছে মাল্টা। মাল্টাতে বিভিন্ন ভিটামিনসহ রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় এ বছর থেকে প্রথম মাল্টা চাষ হচ্ছে। এ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড্ডাপাড়া গ্রামের মাল্টা চাষি ওসমান খান।
প্রতিটি গাছে ঝুলছে রসালো সবুজ মাল্টা। আর কদিন পরই পরিপক্ক হবে মাল্টাগুলো। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার ঐ বাগান থেকে আরো ৩০/৩৫ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করবেন বলে তিনি আশা করেন। প্রথমবার সফলতা পাওয়ায় এবছর আরও ৩০ শতাংশ জমিতে নতুন করে মাল্টা চাষ শুরু করবেন তিনি।
মাটির গুনাগুন মান ও চাষ পদ্ধতি ঠিক থাকলে মাল্টা চাষ করে লাভবান হতে পারেন কৃষকরা। কোনো ধরনের রাসায়নিক ছাড়া সবুজ রঙের মাল্টা স্বাদে ও মানে ভালো হওয়ায় বাজারে এর চাহিদাও বেশি।
কৃষক ওসমান খান জানান, সরাইল কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ১৫ শতক জমিতে বারি-১ জাতের ৬৩টি মাল্টার চারা রোপণ করেন। এক বছরের মধ্যেই মাল্টা গাছে ফলন ধরেছেন। ৮মাস পর মাল্টা বাজার জাতকরণ করা যায়। প্রতি কেজি মাল্টা ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করবেন বলে আশা করেন। প্রতি গাছে গড়ে ৩০/৩৫ কেজি মাল্টা ধরেছে ।
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কার্তিক চন্দ্র কুরি বলেন, শীতের সময় পাতা লাল হওয়া রোগ ছাড়া মাল্টার আর কোন বড় ধরনের কোন রোগ হয়না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রায়হান পারভেজ রনি বলেন, বারি-১ জাতের মাল্টা চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে এ এলাকায়।