সরাইলে অনুমতি ছাড়াই চলছে পুকুর ভরাট



মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে অনুমতি ছাড়াই চলছে পুকুর ভরাটের কাজ । উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামে দেওবাড়িয়া নামক স্থানে একটি পুকুর ভরাট করছেন নজরুল ইসলাম ও কবির গংরা ।
সোমবার(২৩ আগস্ট) পুকুরটির ভরাট কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারি কর্মকর্তা কায়েস খান। পুকুরটির মালিকানা সংক্রান্ত কাগজেও জটিলতা রয়েছে ।
সরজমিনে ও স্থানীয় ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায় , শাহবাজপুর-শাহজাদাপুর সড়কের পাশে দেওড়া ও মলাইশের মাঝামাঝি স্থানে পুকুরটির অবস্থান। পুকুরটিতে আগে থেকেই মাছ চাষ করা হতো। এখন ভরাট করে প্লট আকারে বিক্রি করে দেওয়ার ফন্দি আটছেন নজরুল গংরা। গত এক সপ্তাহেরও অধিক সময় ড্রেজারের মাধ্যমে অন্যত্র থেকে পাইপের সাহায্যে বালু আসছে পুকুরে। রহস্যজনক কারণে রাতের বেলাই চলছে ভরাটের কাজ। ২১৩ দাগের এই পুকুরের সিএস অনুসারে মলাইশ গ্রামের যুগলের বাড়ির ভারত ভৌমিকের অংশ রয়েছে। ভারত ভৌমিকের উত্তরাধীকারিরা ভরাটের কাজে বাধাঁও দিয়েছেন। সিএস-এ রয়েছে দেওড়া পাঠান বাড়ির একাধিক ব্যক্তির নাম যারা বর্তমানে প্রয়াত । তাদেরও রয়েছে অনেক উত্তরাধিকারী। কাউকে না জানিয়েই নজরুল গংরা পুকুর ভরাট করছেন।
স্থানীয় ভূমি অফিসের উপসহকারি ভূমি কর্মকর্তা মো. কায়েস খান বলেন, এ ভাবে পুকুর ভরাট করা বেআইনি। তাই ভরাটের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। এদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, নিজেদের ইচ্ছেমত এভাবে পুকুর ভরাট করার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করছি।