Main Menu

মাহবুব খানকে তিতাস নব-উদয় সংঘের সংবর্ধণা

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ দ্বিতীয় মেয়াদে সরাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত ও দেওড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মনোনিত হওয়ায় মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুলকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সংবর্ধণা জানিয়েছেন মলাইশ গ্রামের তিতাস নব-উদয় ছাত্র ও যুব সংঘ।
গত বুধবার রাতে সংগঠনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা এ সংবর্ধণা জানান। সভায় উপস্থিত ছিলেন- অভিমুন্য সরকার, কৃত্তিবাশ চন্দ্র দাস, সীতারাম চন্দ্র দাস, নরোত্তম দাস, আবু হামিদ ও সংগঠনের সদস্যবৃন্দ। নরেশ দাসের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের উপদেষ্টা পার্থ সারথী দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওই সভায় বক্তব্য রাখেন- ইউপি সদস্য বিধান সরকার, শিক্ষক প্রিয়লাল ভৌমিক, উপদেষ্টা সুব্রত দাস, গগন দাস, পিযুস কান্তী, সুব্রত দেওয়ান, সভাপতি জুমন দাস, সহসভাপতি সৌরভ দাস ও সাধারণ সম্পাদক রূপস দাস।

বক্তারা বলেন, অনিয়ম দূর্নীতির বিরূদ্ধে সাহসী এক সাংবাদিকের নাম মাহবুব খান। আমাদের এলাকার এই কৃতি সন্তান অনেক গুণ ও প্রতিভার অধিকারী। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত সরাইল প্রেসক্লাবে শাহজাদাপুর ইউনিয়ন থেকে তিনিই প্রথম ও একমাত্র সদস্য। তিনি ওই প্রেসক্লাবের তিনবারের নির্বাচিত অর্থসম্পাদক ও সর্বশেষ গত ১৭ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অধিক ভোটের ব্যবধানে (১১/৫) দ্বিতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে দেওড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হয়ে মাত্র ৬ মাসে ৬ লক্ষাধিক টাকার কাজ করেছেন। তহবিল থেকে ১টাকাও নেননি। গত ২৪ ডিসেম্বর মাহবুব খান আবারও দ্বিতীয়বারের মত ওই বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি মনোনিত হয়েছেন। সমাজ ওমানুষের উন্নয়নে তিনি ধৈর্য্যসহকারে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অত্যন্ত সফলতার সাথে মিতালীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। উনার কর্মদক্ষতা ও প্রচেষ্টার ফসল পিফোরডি প্রকল্পের সাথে মিতালীর সম্পৃক্ততা। যার ফলে মিতালী আজ শুধু বাংলাদেশ নয় আন্তর্জাতিক ভাবেও পরিচিত। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে সরাইল সদরে প্রতিষ্ঠিত একমাত্র মহিলা কলেজটির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে মাহবুব খানও একজন। তিনি সেই কলেজের একজন প্রভাষকও। যে দেশে গুণীর কদর নেই, সেই দেশে গুণী জন্মাতে পারে না। দেওড়া গ্রামের এ কৃতিসন্তানকে সংবর্ধণা দিতে পেরে আনন্দিত ও গর্বিত।

মলাইশ গ্রামের ওই সংগঠনের আয়োজনে অভিভূত ও আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন মাহবুব খান। তিনি বলেন, তোমরা নতুন একটি ইতিহাসের জন্ম দিলে। আমি উল্লেখযোগ্য কোন গুণী ব্যক্তি নয়। নিজের অবস্থান থেকে মানুষের জন্য শুধু নিষ্ঠা ও সততার সাথে কাজ করার চেষ্টা করছি। আমার চেয়েও গুণী আছেন। তাদেরকেও সম্মান দেয়া আমাদের দায়িত্ব। আমি তোমাদের কাছে ঋণী হয়ে গেলাম। তোমাদের দেয়া এ সম্মান মনে থাকবে আজীবন। এ সংগঠনের পাশে আমি আছি ও থাকব।






Shares