ফলোআপ——সরাইল খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে এমপি:: অনিয়ম তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল থেকে :: সরাইল খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় ধান সংগ্রহে অনিয়মের প্রতিবেদন পড়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে তিনি আকস্মিকভাবে গুদামে প্রবেশ করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাহিদা হাবিবা, কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহ মজুমদার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুপক কুমার সাহা। গুদামের অনিয়ম তদন্তে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন এমপি।
সূত্র জানায়, গত রোববার জাতীয় পত্রিকায় “ সরাইলে সিন্ডিকেটের কবলে ধান সংগ্রহ অভিযান” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে ধান সংগ্রহে নানা অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে আসে। পত্রিকার প্রতিবেদনটি নজরে আসে স্থানীয় এমপি’র। তাই গতকাল সকালে তিনি কাউকে কিছু না বলেই খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে যান। সেখানে গুদাম কর্তৃপক্ষের উদ্যেশ্যে এমপি বলেন, সরকার কৃষকের সুবিধার কথা চিন্তা করেই ধান সংগ্রহ শুরু করেছে। এখানে কোন সিন্ডিকেট আমার এলাকার কৃষকদের বঞ্চিত করে ফায়দা লুটবে তা হতে দেয়া যাবে না। তালিকায়ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কথা প্রসঙ্গে এমপি বলেন, এক পরিবার থেকে ৭-৮ জনের নাম কৃষকের তালিকায় থাকলে উপজেলার অন্য কৃষকরা কি করবে? কৃষকের নাম দিয়ে প্রভাবশালী লোকজন ও চাতাল মালিকরা ধান দিবে এটা কেমন কথা। এখানে সিন্ডিকেট দূর্নীতি কোন ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। আমি স্বচ্ছতা চাই। গুদামে বসেই এমপি নির্বাহী কর্মকর্তাকে সকল অনিয়ম দূর্নীতি তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। ইউএনও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাইনুল আবেদীনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহ মজুমদার ও সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ রুপক কুমার সাহা। কমিটিকে এ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র যাচাই বাচাই শেষে সরজমিনে তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।