প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষা দিতে চায় জান্নাতুল
মোহাম্মদ মাসুদ :: জান্নাতুল, বয়স ১২। সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ গ্রামের এলাকায় বাড়ি। সে ধর্মতীর্থ পশ্চিমপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। ৬ মাস বয়সে জন্ম দাত্রী মা নাড়ীর ধন এই কন্যা শিশুকে ফেলে পরকীয়ার টানে ঘর ছেড়ে যায়। তারপর বাবাও থেমে থাকেন নি। ঘরে তুলেন নতুন বউ। এমন কষ্টের সৃষ্টি যার জীবন, সেই জান্নাতুলকে বোধহয় খোদাও দয়ার দৃষ্টির বাইরে রেখেছেন। নতুন বছর অনেকটাই আনন্দের সাথে বরণ করেন সবাই। সেই আনন্দের দিনে সে পতিত হয় ভয়াবহ দূঘটনায়। ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারী দুপুর বেলা বাড়ির উঠানে খেলছিল জান্নাতুল। সে সময় পাশের বাড়ির নির্মানাধীন ভবন ধ্বসে পড়ে সে গুরুত্ব আহত হয়। হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক জানান তার(জান্নাতুল) পাকস্তলী ফেটে গেছে। তাৎক্ষণিক অস্ত্রোপ্রচার করা হয় জান্নাতুলকে। এরপরও সমস্যা রয়ে যাওয়ায় তাকে আবারো অস্ত্র প্রচার করাতে হয়। কিন্তু এতেও শেষ রক্ষা হয়নি। এখনও সে তীব্র যন্ত্রণায় বিছানায় কাতরাচ্ছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন করাতে হবে আরো একটি অস্ত্রপ্রচার। কিন্তু আগের দুই অপারেশন করিয়েছেন জান্নাতুলের চাচা নবী হোসেন নিজের জমি বিক্রি করে।
নবী হোসেন জানান, সহায় সম্বল বলতে এখন ভিটে বাড়ি । সেটা বিক্রি করলে পথে দাড়াতে হবে পুরো আমাদের পুরো পরিবারকে। জান্নাতুলের এ অপারেশনটি করতে ৭০ হাজার টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছে চিকিৎসক। যা করতে হবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে। তিনি তার ভাতিজিকে বাঁচাতে সমাজের হৃদয়বান ও দানশীলদের সহায়তা কামনা করেছেন।
দু মাস ধরে বিছানা যার শেষ ঠিকানা, সেই জান্নাতুল এই প্রতিবেদককে দেখে কোন কথাই বলতে পারেনি। শুধু চোখের জল ফেললো। তার একটাই স্বপ্ন সে আবার সুস্থ হয়ে উঠবে আবার বন্ধুদের সাথে বই বুকে জড়িয়ে চলবে বিদ্যালয়ের পথে।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা :: হিসাব নং-২৮২২, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, কালিকচ্ছ শাখা।
অথবা , মোহাম্মদ মাসুদ, সাংবাদিক, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। মুঠোফোন :: ০১৭১৩৮১২২০০ (বিকাশ, পার্সনাল)