Main Menu

পর্চা বিতরনে- সরাইল সেটেলম্যান্ট অফিসের ঘুষ বাণিজ্য

+100%-

settleমোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল থেকে :: ভূমি ও বাড়ির মাঠ পর্চা বিতরনে সরাইল সেটেলম্যান্ট অফিসে দেদারছে চলছে ঘুষ বাণিজ্য। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমত আদায় করা হচ্ছে টাকা। এ কাজে কর্তৃপক্ষের ছত্রছায়ায় রয়েছে একাধিক প্রভাবশালী দালাল। ঘুরে ঘুরে গ্রাহকদের বাগে নেয়ার মন্ত্র ছাড়ছেন দালালরা।

পর্চা বিতরনে দ্বিগুণ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন কর্মরত দুই কর্মচারী। অতিরিক্ত টাকা দিতে নাভিশ্বাস উঠছে অজপাড়া গা থেকে অসহায় ও দরিদ্র লোকদের। অফিস সূত্রে জানা যায়, কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ২৯’শ পর্চা চুড়ান্ত হয়ে আসছে। গত ১৫ মার্চ থেকে ওই পর্চা গুলো গ্রাহকদের মধ্যে বিতরন শুরু হয়েছে। পর্চা বিতরনে সরকারি মুল্য হচ্ছে ১শত টাকা। ওই টাকা গ্রাহকরা চালানের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা দিবে। পরে গ্রহন করবে পর্চা। কিন্তু গত সোমবার সরজমিনে দেখা যায়, সরাইল সেটেলম্যান্ট অফিসে প্রচন্ড ভীড়। ভিতরে বসে নগদ টাকা গ্রহন করে পর্চা বিতরন করছেন অফিস সহায়ক আবদুল হান্নান ও জহিরুল ইসলাম। সরকারি মূল্য ১’শ টাকা হলেও তারা নিচ্ছেন ২-৩’শ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া অফিসের বারান্দা ও বাহিরে ঘুরছে স্থানীয় বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী দালাল। তারা ঘুরে ঘুরে গ্রাম থেকে আসা গ্রাহকদেরকে বিভিন্ন মন্ত্র দিয়ে বাগে নেয়ার কাজ করছেন। অতিরিক্ত টাকা দিতে নাভিশ্বাস উঠছে দরিদ্র গ্রাহকদের। তারপরও হয়রানির ভয়ে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত টাকা গুনছেন। টেবিলের সামনে গিয়ে দেখা যায়, কালিকচ্ছের সাবেক শিক্ষক দিনেশ মালাকার (৬৫) ও মলু (৬০) নামের দুই ব্যক্তি পর্চার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। ৪টি পর্চা গ্রহন করে জহিরুলের হাতে নগদ ৮’শ টাকা দেন। মলুর কাছে আরো ২’শ টাকা দাবী করেন জহির। এ বিষয়ে জহিরুল ইসলাম অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অনেক লোক আছে যারা টাকা দিয়েই চলে যায়। আমরা কিছু বলতে পারি না। আমাদেরকে তো চালানের মাধ্যমে সরকারের ঘরে টাকা জমা দিতে হয়। বেশী টাকা না রাখলে ওই টাকা গুলো পাব কোথায়? সহকারি সেটেলম্যান্ট কর্মকর্তা মোঃ নজিবর রহমান বলেন, জেলা থেকে এইমাত্র অফিসে এসে জানতে পারলাম হান্নান ও জহির নামের দুই অফিস সহায়ক অতিরিক্ত টাকা নিয়েছে। সরকার নির্ধারিত ফি হচ্ছে প্রত্যেক পর্চা ১’শ টাকা। এর বেশী নেয়ার কোন বিধান নেই। তবে কেউ যদি খুশি হয়ে চা পানের জন্য ১০/২০ টাকা দেয় সেটা নিতে পারে। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাহিদা হাবিবা বলেন, সরকার নির্ধারিত টাকার চেয়ে ১টি টাকাও বেশী নেয়ার কোন বিধান নেই। এমনটা করে থাকলে সেটা অপরাধ।






Shares