Main Menu

তথ্য গোপন রেখে দায়িত্ব পালনের অভিযোগে সরাইলে ১০ শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি

+100%-

17558

মোহাম্মদ মাসুদ :: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে সরাইলে ১০ শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তথ্য গোপন রেখে পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের অভিযোগে বুধবার থেকে তাদেরকে অব্যাহতি দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে ৫ জন প্রধান শিক্ষক ও ৫ জন সহকারি শিক্ষক।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও তথ্যানুন্ধানে জানা যায়, নিজের সন্তান/পোষ্য পরীক্ষার্থী থাকলে ওই শিক্ষক বা সহকারি শিক্ষকরা পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। এ বিধান জেনে ও তথ্য গোপন রেখে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব গ্রহন করেছেন ওই শিক্ষকরা। গত ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হয় পরীক্ষা। তিন পরীক্ষার পর তথ্যানুন্ধানে ও স্থানীয় লোকজনের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি আমলে আসে কর্তৃপক্ষের। শুরু হয়ে যায় দৌড়ঝাঁপ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাহিদা হাবিবা এ বিষয়ে সরকারি বিধি বিধান নিয়ে কথা বলেন শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে। পরে ওই ১০ শিক্ষককে দ্রুত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

অব্যাহতি প্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন- পানিশ্বর ইউনিয়নের শোলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মোঃ নাছির উদ্দিন। তিনি যে কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব তার ছেলেও সেই কেন্দ্রেই পরীক্ষা দিচ্ছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তিনি গোপন রেখে দায়িত্বভার গ্রহন করেছিলেন।

এ ছাড়া নিজের সন্তান পরীক্ষার্থী রেখে পরমানন্দপুর কেন্দ্রের হল সুপারের দায়িত্বে থাকা উত্তম ঘোষ, পাকশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের হল সুপার মোঃ অহিদ মিয়া, কালিকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের হল সুপার শামসুন্নাহার সুলতানা হক ও আলীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের হল সুপার আবদুল মান্নানকে অব্যাহতি দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। নিজেদের জন্মস্থান গ্রাম রানিদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ইনভিজিলেটরের দায়িত্ব নেয়ার অভিযোগে সহকারি শিক্ষক জহিরুল ইসলাম, আকলিমা বেগম ও আরিফা বেগমকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

একই অভিযোগে অরুয়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে অজিত চন্দ্র দাস ও পরীক্ষার্থীদের ধমক দেয়ার অভিযোগে সাবিনা ইয়াছমিনকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

বুধবার থেকে তাদের প্রত্যেকের জায়গায় অন্য শিক্ষকদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আবুল খায়ের ও সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা কামাল অব্যাহতি পাওয়া প্রত্যেক প্রধান শিক্ষকের সন্তান পরীক্ষার্থী এ কথার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাদেরকে যে কেন্দ্রের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল সেই কেন্দ্রে সন্তান পরীক্ষার্থী না হলে সমস্যার কিছু নেই। তবুও সমালোচনা শুরু হওয়ায় স্বচ্ছতার স্বার্থে অব্যাহতি দিয়েছি। তবে প্রধান শিক্ষক মোঃ নাছির উদ্দিন তথ্য গোপন করে সরকারি বিধান অমান্য করেছে। তাকে আমরা আজই কারন দর্শানো নোটিশ দিচ্ছি।

প্রসঙ্গত: এ বছর সরাইলের বিভিন্ন কেন্দ্রের আসন বিন্যাসে অনিয়মের বিষয়টি চাউর করছেন একাধিক প্রধান শিক্ষক। এ ছাড়া প্রভার বিস্তার করে কেন্দ্রে ও কক্ষে পছন্দের ইনভিজিলেটর নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। একাধিক প্রধান শিক্ষক নিজের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জিপিএ-৫ পাওয়ানোর জন্য নানা ফন্দিফিকিরে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। এমন অভিযোগ খোদ শিক্ষকদের।






Shares