বিকল্প সড়ক: সরাইল-নাসিরনগর ও হবিগঞ্জের লাখাই-হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়ক
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে শাহবাজপুর সেতু দিয়ে ভারী-মাঝারী যান চলাচল বন্ধ



সরাইলে শাহবাজপুর সেতুর চতুর্থ স্প্যানের ফুটপাতসহ রেলিং ভেঙে পড়েছে। এ কারণে এ সেতুর ওপর দিয়ে সব ধরনের ভারী ও মাঝারি যানবাহন চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)।
গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে সওজ এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে। বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর-সরাইল ও হবিগঞ্জের লাখাই-হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সওজের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৬৩ সালে শাহবাজপুরে তিতাস নদীর ওপর নির্মিত হয় ২০৩ মিটার দীর্ঘ এ সেতু। একপর্যায়ে সেতুটি দুর্বল হয়ে পড়লে এর ওপর দুটি বেইলি সেতু নির্মাণ করে সওজ। স্থানীয়রা জানান, রেলিং ধসে পড়ার আগেই সেতুতে ফাটল তৈরি হয়েছিল। এর ফলে কোনো যানবাহন উঠলেই সেতুটিতে কম্পন শুরু হতো । কয়েক বছর ধরেই সেতুটির এমন অবস্থা করছিল। কিন্তু বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এ সেতুর ওপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলছিল যানবাহন। ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে সিলেট বিভাগের সরাসরি সড়ক যোগাযোগের এটিই একমাত্র পথ।
সওজ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শাহবাজপুর সেতুর চতুর্থ স্প্যানের ফুটপাতসহ রেলিং ভেঙে পড়ে। পরে সওজ এ সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নেয়। কর্তৃপক্ষ বলছে, সেতুটি যান চলাচলের উপযোগী করতে তিন থেকে ১০ দিন লাগবে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, অন্তত ৮-১০ জায়গায় সেতুর দুই পাশের রেলিং ভেঙে গেছে। একাধিক জায়গায় ফাটল দেখা গিয়েছে। ফাটল ও ভাঙা অংশে দেওয়া হয়েছে জোড়াতালি। একটি রেলিং হেলে পড়েছে। সেতুর মাঝখানের নিচের দিকে দুটি গ্রাডারেও ফাটল দেখা দিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আল মামুন বলেন, চতুর্থ স্প্যানের ফুটপাতসহ রেলিং ভেঙে পড়ায় এক পাশ দিয়ে গাড়ি চালানো যাবে। কিন্তু সেতুর অবস্থা ভালো না। যে কোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই সেতু দিয়ে সব ধরনের ভারী ও মাঝারি যান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপাতত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-নাসিরনগর ও হবিগঞ্জের লাখাই-হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, সেতুটি যান চলাচলের উপযোগী করতে তিন থেকে ১০ দিন সময় লাগবে।
এ দিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল বিশ্বরোড কুট্টাপাড়া হয়ে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই সড়কে দূরপাল্লার সকল ধরণের যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।