কালীকচ্ছ ইউপির উপনির্বাচনে প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা না নেওয়ার অভিযোগ
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদের এক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা না নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার (১৩ সেপটেম্বর)দুপুরে নিয়তী রাণী দাস নামের ওই প্রার্থী সরাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সরাইল উপজেলা পরিষদের বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন কালীকচ্ছ ইউনিয়ন পরিষদের ওই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য। তিনি গত ২৭ এপ্রিল ওই পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এতে পদটি শূণ্য ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। আগামী ১৪ অক্টোবর এখানে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত বৃহস্পতিবার ছিল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
নিয়তী রাণী দাস সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি দীর্ঘ দিন আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত রয়েছি। আমি ওই ওয়ার্ডের শূণ্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীসহ মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিনের কার্যালয় উপস্থিত হই। কিন্তু তিনি অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কাল ক্ষেপন করে বিকেল পাঁচায় আমার মনোনয়নপত্র জমা রাখেন নি। এক পর্যায়ে তিনি আমাদেরকে তার অফিস থেকে বের করে দেন। বিষয়টি আমি জেলা রিটার্নিক কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে অবহিত করলে তিনি বিষয়টি উপজেলা রিটার্নিক কর্মকর্তার এখতিয়ারের বিষয় বলে জানিয়ে দেন।
নিয়তী রাণী দাস দাবি করেন উপজেলা রিটার্নিক কর্মকর্তা অন্য কোনা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্যই ইচ্ছকৃতভাবে আমার মনোনয়নপত্র জমা রাখেননি। আমি এর প্রতিকার চাই। সেই সাথে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিক কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন বলেন, তিনি সাড়ে চারটিকে আমার কার্যালয়ে আসলেও সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সম্পূর্ণ করে দাখিল করতে পারেননি। তাই মনোনয়নপত্র দাখিলের সব তথ্য আমি মুঠোফোনে জেলা কার্যালয়কে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জানিয়ে দিয়েছি। এর পরতো আমি নতুন কোনো প্রার্থীর কাগজপত্র জমা নিতে পারি না।