সরাইলে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী কালিকচ্ছ সম্মিলনী সমাপনী
আমার জম্মভিটায় বার বার আসতে চাই::ত্রিপুরার ডেপুটি স্পিকার পবিত্র কর
মোহাম্মদ মাসুদ. সরাইল ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই দিনব্যাপী ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী কালিকচ্ছ ৫ম সম্মিলনীর সমাপনী দিনে গত শুক্রবার উপজেলার কালিকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী কালীকচ্ছ ৫ম সম্মীলনী অনুষ্ঠিত হয়। কালিকচ্ছ গ্রামে তার নিজ এলাকা গুড়ে দেখেন ও উল্লাসকর দত্ত সড়ক উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ অধ্যায়ের আহবায় স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা সভাপতিত্বে সমাপনী দিনে প্রধান আলোচক হিসেবে ভারতের ত্রিপুরা বিধান সভার ডেপুটি স্পিকার পবিত্র কর বলেন আমার জম্মভিটা সরাইল উপজেলার ঐতিহাসিক কালিকচ্ছ গ্রামে বার বার আসতে চাই । মা মাটির গন্ধ নিয়ে নতুন প্রেরনায় উজ্জীবিত হতে চাই। কালিকচ্ছ গ্রামের মতো দ্বিতীয় আর একটি গ্রাম খুজে পাওয়া দুস্কর। যে গ্রামের কৃতী সন্তানরা শিক্ষা দিক্ষায়, সাংবাদিকতায়,গবেষনায়,বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্রযাত্রায় বিপুল ভুমিকা রেখে ভারতবর্ষের মান উজ্জল করেছেন । অনুষ্ঠানে আগত ভারতীয়দের মধ্যে অনুভুতি ব্যক্ত করেন এড:অরুন রায়, প্রনতী দেব,মন্দীরা নন্দী,সরাজ কান্তি রায়.জুয়েল দাস,সমর চন্দ্র, ড. বানী তলা পাত্র, এড: শংকর কুমারদেব,বেনু গোপাল ভুইয়া, মিসেস মাহবুবা বেগম নীরু এবং বাংলাদেশের ভৈরব পৌর সভার মেয়র এড: ফখরুল আলম আক্কাছ, মুক্তিযোদ্ধা মো: ছাদেক মিয়া, অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, উদ্বোধনী দিনে সম্মিলনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সনকারের পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো: নজরুল ইসলাম হীরু বীর প্রতীক এমপি।বিশেষ অতিথি ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী ড. সুনিল তলাপাত্র,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান, পুলিশ সুপার মো: মিজানুর রহমান পি পি এ বার,সরাইল ইউ এন ও সৈয়দা নাহিদা হাবিবা প্রমূখ। এছাড়া সম্মিলনীতে ২’শতাধীক ভারতীয় নাগরিক অংশগ্রহন করেন। দিন ব্যাপী আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি, স্মৃতিচারণ ও তারত-বাংলাদেশ শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মিলনী সমাপ্তি হয়।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে গত ২০০৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় প্রথম, ২০১০ সালে ত্রিপুরার খয়েরপুরে দ্বিতীয়, ২০১১ সালে সরাইলের কালীকচ্ছ গ্রামে তৃতীয় এবং ২০১৫ সালে ফের ত্রিপুরার খয়েরপুরে চতুর্থ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।