সরাইলে পাটখড়ি নেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলার অভিযোগ
মোহাম্মদ মাসুদ,।ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র সরাইল উপজেলা’র শাহজাদাপুর ইউনিয়নের মলাইশ দেওবাড়িয়া এলাকায় এক পরিবারের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে মলাইশ এলাকার কাশিনাথ বৈশ্য’র ছেলে রঘুনাথ বৈশ্য(৩২) এর ফসলি জমি থেকে পাটখড়ি নিয়ে চলে যায় দেওড়া কামরুল ইসলাম এর ছেলে ইমন মিয়া। এসময় রঘুনাথ বৈশ্য বাধা দেয়, পরে তারা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে।
এসময় রঘুনাথ’র ছেলে অন্তর বৈশ্য ছুটে এলে তাকে মারধর করে কামরুলের ছেলে ইমন । বিষয়টি কামরুল ইসলাম কে মুঠোফোনে জানানো হলে তিনি রঘুনাথ বৈশ্য কে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
কিছুক্ষন পরে কামরুল ইসলাম তার ছেলে ইমন লোকজন নিয়ে রঘুনাথ বৈশ্য’র বাড়িতে এসে হামলা চালায়। এসময় তার স্ত্রী কল্পনা রানীকে মারধর করে ও পেটে আঘাত করে রক্তাক্ত করে ফেলে যায়। এসময় তার ভাতিজী জমুনা বৈশ্য ও পার্শ্ববর্তী বাড়ির খগেন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য এগিয়ে এলে তাদেরকে ও মারধর করে। কামরুল ও তার লোকজন রঘুনাথ ‘র ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন । পরে তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন জড়ো হলে তারা সটকে পড়ে।
ভুক্তভোগী রঘুনাথ বৈশ্য বলেন, পরে তার স্ত্রীকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি প্রাইভেট হাসপাতালে বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন সকালে সরাইল থানায় মামলা করতে গেলে সেখান তাকে তাকে হাসপাতালে যাইতে বলে। পরের দিন তিনি বাদি হয়ে মোঃ কামরুল ও তার ছেলে ইমন, সোলেমান, মোস্তাকিন সহ চারজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় অপূর্ব বৈশ্য(৭০) বলেন, আমি রঘুনাথের বাড়িতে শোরগোল শুনে এসে দেখি বাড়িতে তার স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে পাড়ার লোকজন জড়ো হলে কামরুল ইসলাম তার লোকজন নিয়ে চলে যায়।
শাহাজাদাপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হরি বিলাশ দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই, আমি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। বিষয়টি থানা পুলিশ বা ইউপি চেয়ারম্যান কে জানিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে মোঃ কামরুল বলেন, আমার ছেলে ইমন কে অনেক মারধোর করে তারা। আর পাটখড়ি আমার জমি থেকে আনছে তাদের গুলো আনে নাই, আমার ছেলে টা একটু সহজ সরল। সে মাইর খাওয়ার পরে কয়েকজন নিয়ে রঘুনাথের বাড়িতে উঠে যায়, পরে আমি গেলে আমাকে সেখানকার লোকজন গাড়িতে উঠিয়ে দেয়।
এই বিষয়ে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। আর আমাদের কাছে আদালত থেকে এখনো কোন অভিযোগ আসেনি। এলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।