সরাইলে কৃষক প্রশিক্ষণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ সরাইলে কৃষক প্রশিক্ষণে ৭৫০ টাকার ভাউচারে স্বাক্ষর নিয়ে মাত্র ২৪০ টাকা প্রদানের অভিযোগ ওঠেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বলছে একটি ডাবের চারার মূল্য বাবদ ৫ শত টাকা কেটে রেখেছি। কৃষকদের বক্তব্য- গাছ তো সরকারি। এর জন্য আবার টাকা কেন? গতকাল বুধবার সরাইল উপজেলা কৃষি অফিসে ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উন্নত ও খাটো (ওপি) জাতের নারিকেল চাষ পদ্ধতির উপর দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় এ প্রশিক্ষণ।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, ভিয়েতনাম থেকে সংগৃহীত এ জাতের নারিকেল চাষে উৎসাহিত ও উদ্ভুদ্ধ করার লক্ষ্যে সরাইলের ৯টি ইউনিয়নের ২৯ জন কৃষক প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহন করছেন। তাদেরকে একটি ডাব গাছ, ১টি কলম ও একটি প্যাড দেওয়া হয়েছে। আর দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রশিক্ষণ কক্ষে গিয়ে দেখা যায় উপ-পরিচালক মো. আবু নাসের নিজেই সেশন নিচ্ছেন। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক কৃষককে ১টি করে ডাবের চারা প্রদান করেন। কিন্তু ভাতা প্রদান করেন ৭৫০ টাকার স্থলে ২৪০ টাকা। হতকচিত হয়ে পড়েন কৃষকরা। কারন জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষ ডাবের চারার দাম কেটে রাখার কথা জানান।
প্রশিক্ষনে অংশ গ্রহনকারী কৃষক মোহাম্মদ আলী ও শেখ সামছুল আলম বলেন, বুঝলাম না। ভাতা ৭৫০ টাকা লিখা ভাউচারে স্বাক্ষর নিল। আর দিল মাত্র ২৪০ টাকা। ডাবের চারা আর প্রশিক্ষনের সামগ্রী তো ফ্রিতে দেওয়ার কথা। ডাবের চারার জন্য আলাদা কোন ভাউচারে স্বাক্ষর নিলেন না। লালচে ও ছোট ১টি চারার মূল্য ৫শত টাকা! আমাদেরকে কোন রশিদ ও দিলেন না। এ টাকা সরকারের ঘরে যাবে তো? নাকি আত্মসাৎ হবে! এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিরুল ইসলাম সরকার বলেন, ভিয়েত নাম থেকে আমানীকৃত ১টি চারার দাম ১ হাজার টাকা। কৃষকদেরকে ৫শত টাকায় দেওয়া হচ্ছে।
উপ-পরিচালক মো. আবু নাসের বলেন, আত্মসাৎ নয়। চারার জন্য প্রত্যেকের ভাতা থেকে ৫শত টাকা কেটে রাখা হয়েছে। ডাবের চারার টাকা আদায় করতে আলাদা কোন ভাউচারও করা হয়নি।