ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২আসনের ভোট কেন্দ্রে অনিয়ম তুলে সংবাদ সম্মেলন করলেন এড: জিয়াউল হক মৃধা
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সাংসদ এড: জিয়াউল হক মৃধা ভোট কেন্দ্রের নানান অনিয়ম তুলে ধরেন নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে।
আজ সোমবার (০৬নভেম্বর) সকালে কালিকচ্ছ ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি’র কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে জাতীয় পার্টি ( রওশন পন্থী) নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সাংসদ এড: জিয়াউল হক মৃধা প্রথমেই সরাইল আশুগঞ্জ বাসীকে ধন্যবাদ জানান। স্বল্প সময়ের উপনির্বাচনে ভোট দিয়ে তার পাশে থাকার জন্য। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, নির্বাচনে কি হয়েছে বিভিন্ন কেন্দ্রে তা আপনারা দেখেছেন। জেলাপ্রশাসক ও পুলিশ সুপার নির্বাচন কর্মকর্তা আমাকে আশ্বস্ত করেছিলো নির্বাচন শতভাগ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। কি নির্বাচন হয়েছে আপনারা দেখেছেন। আমাকে হালনাগাদ ভোটার তালিকা একরকম দিয়েছে সরকারি দলকে আরেক রকম দিয়েছে। যার কারণে আমার পঞ্চাশ হাজার ভোটার ভোট দিতে পারে নাই। তালিকায় ভোটারদের তথ্যে ভুল দেখানো হয়েছে, আর এ-ই কাজটি করছেন নির্বাচন অফিসে।
সরাইল আশুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের বের করে দিয়ে তারা জাল ভোট দেয়া হয়েছে বলে জানান আমার নেতাকর্মীরা। সারাদিনে ভোটার উপস্থিতি না দেখা গেলেও বাক্সে ভোট পড়েছে পাহাড় সমান। এই ভোট যেন দিয়েছে জ্বীনপড়িরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আশুগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টি ( রওশন পন্থী) সভাপতি আব্দুর রউফ ও সাধারণ সম্পাদক মেরাজ শিকদার, সরাইল উপজেলা জাতীয় পার্টি ( রওশন পন্থী) সভাপতি হুমায়ুন কবির ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ মিয়া।
সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ মিয়া বলেন , সরাইলের স্বল্পনোয়াগাঁও কেন্দ্রে যুবলীগ নেতা শের আলম ও এডভোকেট আশ্রাফ উদ্দিন মন্তুর নেতৃত্বে ও পশ্চিম কুট্রাপাড়া কেন্দ্রে উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর ও মাহফুজ আলীর নেতৃত্বে সীল মারা হয়। এছাড়া অরুয়াইলের ধামাউড়ায় ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক এড শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ভোট ছাপানো হয়। শাহাজাদাপুরের নিয়ামতপুর, শাহবাজপুরের হাইস্কুলের কেন্দ্রে ভোট ছাপানো হয়েছে। আমি মনে করি আওয়ামী লীগের নেতারা আমাদের স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভোট ছাপিয়ে পরাজিত করেন।
আশুগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টি ( রওশন পন্থী) সাধারণ সম্পাদক মেরাজ শিকদার বলেন, আশুগঞ্জের বিভিন্ন কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেয় সরকারি দলের প্রার্থীর লোকেরা। তারা আমাদের হুমকি দেয় বিকেলে ভোটের পরে দেখা নেওয়ার। বিশেষ করে তল্লা,যাত্রাপুর, চরচারতলা, লালপুর, শরীফপুর, নাওঘাট কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টদের বের করে ভোট ছাপানো হয়েছে। এছাড়া অনেককেই সামনে সীল মারতে বাধ্য করে।