আওয়ামীলীগ নেতা অপহরণকারীদের বিচারের দাবিতে সরাইলে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ সমাবেশ
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিক উদ্দিন ঠাকুরকে অপহরণের প্রতিবাদে ও অপহরণকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলার বিক্ষুদ্ধ জনতা বিক্ষোভ মিছিল বের করে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করে। সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অপহরণের শিকার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিক উদ্দিন ঠাকুর, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ইসমত আলী, উপজেলা সেক্টর ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আলী, যুবলীগ নেতা পায়েল মৃধা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম সিজার প্রমুখ।
অপহরণের শিকার রফিক উদ্দিন ঠাকুর সমাবেশে বক্তব্যে বলেন, সোমবার বিকাল ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ কোর্টে যাওয়ার পথে একটি অপরিচিত মোবাইল নম্বর(০১৭৯৮-৪২৭৯৩৭) দিয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে(০১৭৪৫৭৬৬৯৩০) লিটন পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি ফোন করে পুনিয়াউট এলাকায় একটি স-মিলে তার একবন্ধুর কথা বলে সেখানে যেতে বলেন। তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি পুনিয়াউট বাসস্ট্যান্ডে থামালে লিটন নামের লোকটি তাকে স-মিলের দিকে নিয়ে যায়। লোক চক্ষুর আড়ালে যাওয়া মাত্র পূর্ব থেকে ওৎঁ পেতে থাকা লিটনের সহযোগী ৪/৫জন যুবক মারমুখী হয়ে তাকে ধরে ঠেনে-হেচঁরে একটি টিন শেডের ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক আটকিয়ে রাখে এবং তার হাতে থাকা মোবাইল সেটটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় রফিক উদ্দিন ঠাকুরকে জিম্মি করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার কাছে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ সময় মুক্তিপণের টাকা বিকাশ নম্বরে দেওয়ার রফা-দফায় সময় অতিবাহিত হতে থাকে।
ঘটনার ২ঘন্টা পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২নং শহর পুলিশ ফাড়িঁর কর্তব্যরত অফিসার সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে রফিক উদ্দিন ঠাকুরকে অপহরণকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করেন । এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মো: হৃদয় মিয়া(২০) ও মো: রফিকুল ইসলাম(২০) নামে দুই যুবককে আটক করেন। বাকীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় রফিক উদ্দিন ঠাকুর বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় আটক ২জন সহ ৩জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ৩/৪জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন।