মহিলা আওয়ামী লীগের প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠান
২৫ শে মার্চ মানবসভ্যতার ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত দিন-মোকতাদির চৌধুরী এমপি
জাতীয় গণ হত্যা দিবসে ২৫ শে মার্চ পাক হানাদারদের নিহত সকল বীর বাঙালীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহিলা আওয়ামী লীগ। গতকাল শিিনবার সন্ধ্যায় দি আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনে এই কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, বিশিষ্ট লেখক, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও পৌর মেয়র নায়ার কবীর, সহ সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, মজিবুর রহমান বাবুল, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মহসিন মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জায়েদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ ফারুক মিয়া, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মুসলিম মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডঃ তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ২৫ শে মার্চ মানবসভ্যতার ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত দিন। একাত্তরের অগ্নিঝরা এদিনে বাঙালির জীবনে নেমে আসে নৃশংস, ভয়ঙ্কর ও বিভীষিকাময় কালরাত্রি। এ রাতে বর্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’র নামে স্বাধীনতাকামী ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে হিংস্রের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আর এদিন বাঙ্গালি জাতি তথা বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছিল এক নৃশংস বর্বরতা। বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলন, এমনকি জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলে প্রাপ্ত আইনসঙ্গত অধিকারকেও রক্তের বন্যায় ডুবিয়ে দিতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী শুরু করেছিল সারাদেশে গণহত্যা। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে পরিচালিত এ অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল বাঙালির মুক্তির আকাঙ্খাকে অঙ্কুরেই ধ্বংস করা। ২৫ র্মাচ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নৃশংস, ভয়ঙ্কর ও বিভীষিকাময় রক্তাক্ত নাম। এ সময় তিনি ২৫ মার্চের কালো রাতের সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।