Main Menu

রমজানের পবিত্রতা ও তাৎপর্য অনুধাবন করে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের সঠিক প্রতিফলন ঘটানোর আহবান জানালেন আলহাজ্ব ডাঃ মোহাম্মদ বজলুর রহমান

+100%-


রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের সওগাত নিয়ে সারাবিশ্বের মুসলমানের দ্বারে বছর ঘুরে এলো এই মাহে রমজান। সাম্য, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, ত্যাগ, সংযম ও আত্মশুদ্ধির মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে গেছে মাসের ক্ষণ গণনা। স্বাগত হে মাহে রমজান। শাবান মাস বিদায়ে পশ্চিম আকাশে এক ফালি নতুন চাঁদ নতুন সওগাত নিয়ে রমজান মুসলিম ধনী-গরিব, ছোট-বড় সবার ঘরে ঘরে উপস্থিত।

এ মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এ মাসে বেহেশতের দরজাগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো তালাবদ্ধ থাকে আর শয়তানকে (তার সহচরদেরসহ) শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়। (বুখারি ও মুসলিম)। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আরবী মাস শুরু হওয়ায় সউদী আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে একদিন আগেই রমজান শুরু হয়ে গেছে।
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আর মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগীর জন্যই। আল্লাহ’র এই দুনিয়ায় মুমিনদের জন্য মহান আল্লাহর সন্তুুষ্টি অর্জনে রমজান মাস খুবই তৎপর্যপূর্ণ। এই মাসের প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটি দিবস, প্রতিটি রজনী আমল করা যায়। তাই মাসটি মুসলমানদের জন্য অন্য মাসগুলোর চেয়ে অনেক বেশি নেয়ামতের। মহান আল্লাহ্ এ মাসেই মহাগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআন নাজিল করেছেন। ইসলামের ৫ স্তম্ভের অন্যতম সিয়াম সাধনা তথা রোজা মুমিন-মুসলমানের জন্য ফরজ করেছেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ নিজেই ঘোষণা করেছেন, ‘রমজান মাস, এতে মানুষের পথপ্রদর্শক ও সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন এবং ন্যায় ও অন্যায়ের মীমাংসারূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। অতএব, তোমাদের মধ্যে যে এ মাস পাবে সে যেন এ মাসে অবশ্যই রোজা রাখে’ (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৩)। রমজান মাস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল নাগরিককে সোহার্দ্য ও সম্পৃতির বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব ডাঃ মোহাম্মদ বজলুর রহমান।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এ মাস কুরআন নাজিলের মাস। রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, এ মাসের প্রথম অংশ রহমতের, মধ্যবর্তী অংশ মাগফিরাতের ও শেষ অংশ নাজাতের। এ মাসের শেষ দশ দিনের মধ্যে রয়েছে একটি বরকতময় রাত যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ মাসে একটি নফল কাজ ১০৯ ফরজের সমান এবং ফরজ কাজ আঞ্জাম দিলে অন্য মাসের ৭০টি ফরজ কাজের সমান সওয়াব পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, এ মাসের পবিত্রতা রক্ষা, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও নগ্নতা বন্ধ করার দায়িত্ব সকলের।
তিনি বলেন, এ মাসে আল্লাহ্ তা’য়ালা পবিত্র গ্রন্থ আল-কোরআন নাজিল করে মানুষকে পথ প্রদর্শণ করেছেন। রমজান মাসে আত্মশুদ্ধি অর্জন করে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে কাজ করতে হবে এবং সকল প্রকার ফেৎনা-ফাসাদ ছেড়ে দিয়ে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সত্যিকার আল্লাহর ভয় অর্জন করার চেষ্টা করতে হবে।
বলেন, সকল প্রকার অশ্লীল ছবি প্রদর্শন বন্ধ রাখতে হবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম স্থিতিশীল রাখতে প্রশাসনকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, শুধু উপবাস থাকাই রমজানের সাফল্যের শর্ত নয়, বরং উপবাসের সাথে যাবতীয় পাপ কাজ যেমন- মিথ্যা কথা বলা, গীবত করা, চোগলখোরী, অতি মুনাফাখোরী, কালোবাজারী, ঘুষ-দুর্নীতি, প্রতারণা ও প্রবঞ্চণার মতো ইসলাম বিরোধী কাজ থেকে বিরত না থাকলে রমজানের ফল পাওয়া যাবে না।
এক বার্তায় আলহাজ্ব ডাঃ বজলুর রহমান রমজানের পবিত্রতা ও তাৎপর্য অনুধাবন করে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের সঠিক প্রতিফলন ঘটানোর এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে অবদান রাখা, যাবতীয় ভোগবিলাস, হিংসা-বিদ্বেষ, উচ্ছৃঙ্খলতা, সংঘাত পরিহার করে ব্যক্তিগত ও সমাজ জীবনে শান্তি, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বস্তরের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ মাসে ত্যাগ স্বীকারের শিক্ষার মাধ্যমে আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটে ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর নৈকট্য লাভের সুযোগ হয়। মহান আল্লাহ জাতীয় জীবনে পবিত্র রমজানের শিক্ষা কার্যকর করার তাওফিক দান করুন এমন আশা প্রকাশ করে বাণীতে তিনি বলেন, আসুন, আমরা সকল প্রকার অকল্যাণ বর্জন করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় পরস্পরকে সহযোগিতা করি। জীবনের সর্বস্তরে ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষা করি। “যে রমজান মাস পেয়ে নিজের গোনাহ্ মাফ করাতে পারলেন না- এরমত হতভাগ্য আর কেউ নাই।”- আল হাদীস।






Shares