মেড্ডায় জিডি করেও হামলা থেকে বাঁচতে পারলেন না ব্যবসায়ী, সড়কে ফেলে বেধড়ক মারধর



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বেলাল সিদ্দিক নামে এক ব্যবসায়ীকে সড়কে ফেলে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ। শনিবার জেলা পুলিশ লাইন্সের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। হামলার সময় ব্যবসায়ী দৌড়ে পুলিশ লাইন্সের ভেতরে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। পরে তার স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় একটি অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে এ হামলার আশংকায় সদর থানায় সাধারন ডায়েরি করেছিল ব্যবসায়ী বেলাল। ব্যবসায়ী বেলাল মধ্য মেড্ডা এলাকার মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, মেড্ডা এলাকার মৃত রহিজ মিয়ার ছেলে হোসাইন, ইমরান, আওলাদ ও জাহের মিয়ার ছেলে ওয়াসিম, জাবেদ, আহাদ মিয়ার ছেলে সাগরসহ আরো কয়েকজনের সাথে জমি নিয়ে বেলালের বিরোধ রয়েছে। জমি দখলের অভিযোগ এনে গত ২৬ সেপটেম্বর সদর থানায় অভিযোগপত্র দেয় বেলাল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার হুমকিসহ মারধর করে। তখন আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে। হত্যার হুমকি ও হামলার ঘটনায় ২৯ সেপ্টেম্বর জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সদর থানায় জিডি করে বেলাল।পরে, শনিবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ লাইন্স সংলগ্ন সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় বেলালকে ফের বেধড়ক মারধর করেছে তারা। হামলার সময় দৌড়ে পুলিশ লাইন্সের ভেতরে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন বেলাল। পরে তার স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। তার মাথায় ও পিঠে আঘাত গুরুত্বর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বেলাল সিদ্দিক জানান, ঠিকাদার হোসাইনের নেতৃত্বে একটি চক্র তার জায়গা দখল করতে চাইলে তিনি পুলিশের ধারস্থ হোন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা হ্যথার হুমকিসহ হামলা করে।এরপর তিনি জিডি করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এতে প্রতিপক্ষ সামাজিকভাবে বিষয়টি সমঝোতা করতে চায়। কিন্তু পড়ে তারা গড়িমসি শুরু করে আর সমঝোতা করেনি।
জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মহসিন জানান, বিরোধ জায়গা সংক্রান্ত। তিনি তদন্ত শেষে মামলা প্রক্রিয়া করতে চাইলে বাদীপক্ষ সমঝোতার কথা বলে। এর বেশি তিনি কিছু জানেন না।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে ঠিকাদার হোসাইনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।