মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শেখ হাসিনার পাশে থাকবো: গণপূর্তমন্ত্রী
কঠিন সময়ে মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত যে কোনো পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত “শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স” এ আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির সভাপতির র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ায় এই সংবর্ধনার আয়োজন করে সংগঠনটি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সমিতির সহসভাপতি ম. শাজাহান খাদেম। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম এমপি।
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এ সময় বঙ্গবন্ধু হত্যার পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী হিসেবে কঠিন সময়ের মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি স্মৃতি চারণ করে বলেন, সে সময় কথা দিয়েও, চেষ্টা করেও বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে পারিনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কথা দিচ্ছি, মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত যে কোনো পরিস্থিতিতে আমি তার পাশে থাকবো।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ সেদিনই করা উচিত ছিলো। কিন্তু দুঃখজনকভাবে হলেও সত্য, আমরা তা করতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা ছিলো। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খন্দকার মোশতাকের সরকারের আমলে, ২০ অক্টোবর আমরা মিছিল করি। এর পর ৪ নভেম্বর আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে ক্লাসরুমে গিয়ে শিক্ষার্থীদের এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানাই। ৫০-৬০ মিছিল করতে গেলে তৎকালীন সরকারের পেটোয়া বাহিনীর নির্যাতনের মুখোমুখি হই, আমাদের পিটিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে ছাত্র জনতা ও শিক্ষকদের প্রতিরোধের মুখে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
তিনি আরও বলেন, এটা সত্য যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সবাই ধারণ করতে পারেনি। অনেকে এটা নিয়েছে, তবে বাধ্য হয়ে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অখ্যাত, প্রত্যন্ত একটি গ্রাম থেকে তিনি উঠে এসেছেন। সেখান থেকে আজ প্রধানমন্ত্রী তাকে মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব দিয়েছেন। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী তাকে যে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন, সেই দায়িত্বের কথা মাথায় রেখে দেশবাসীর সেবা করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই তার প্রধান কর্তব্য।
তিনি বলেন, অতীতের আন্দোলন সংগ্রামে যারা সামনের সারিতে ছিলেন, নির্যাতিত হয়েছেন, তাদেরকেই প্রধানমন্ত্রী এবারের মন্ত্রিসভায় অধিক প্রাধান্য দিয়েছেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পিএসসি’র সদস্য খলিলুর রহমান, সমিতির উপদেষ্টা ও পিএসসি’র সদস্য দেলোয়ার হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, মাহবুবুল বারী মন্টু।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রীর স্ত্রী ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ফাহিমা খাতুন এবং শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্তের নাতনি অ্যারোমা দত্ত।