ভাঙচুরের দায়ে গ্রেফতার অভিযানের নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে বিএনপি নিধন অভিযান চলছে- জেলা বিএনপি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাধারণ সম্পাদক মো: জহিরুল হক খোকন জহির গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতে বলেন, আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশের সাথে মাদ্রাসার ছাত্রদের সৃষ্ঠ ঘটনা, যার সাথে বিএনপি ও তার নেতাকর্মী কেহই সম্পৃক্ত ছিলনা, যা দিবালোকের মত স্পষ্ট। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য স্থানীয় শাষক দলের কতিপয় অসহিষ্ণু সম্পন্ন নেতার প্রতিহিংসার স্বীকার, তাদের ইঙ্গিতে ও ষড়যন্ত্রে প্রতিদিন বিএনপি তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন নিরপরাধ নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশির নামে হয়রানি, আতঙ্ক সৃষ্টি এবং গ্রেফতার করা হচ্ছে।
আসন্ন সদর পৌর মেয়র নির্বাচনে বিএনপির আলোচিত এবং সম্ভাব্য জনপ্রিয় প্রার্থীসহ দলের গুরুত্বপূর্ণ, দায়িত্বশীল ও সাহসী নেতাকর্মীদের নির্বাচনী মাঠ শূন্য করে খালি মাঠে গোল দিয়ে প্রহসনে নির্বাচন করতে চায় স্থানীয় শাসকদল।
বিগত সংঘাতে হত্যাকান্ড ও ভাঙচুরের ফলে সৃষ্ঠ চরম বেসামাল পরিস্থিতি শান্ত করার লক্ষ্যে চট্টগ্রামের ডিআইজির মধ্যস্থতায় জামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসায় একটি আলোচনা ও সমঝোতা হয়। আমরা বিস্ময়ের সাথে দেখতে পাচ্ছি সংঘাতে সরাসরি জড়িতে কোন পক্ষকেই আসামী ও গ্রেফতার না করে উদুর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর মত বিএনপির নামে যখন মামলা হয়, তখনই শাসকদলের আসল ও প্রকৃত চেহারা জেলাবাসী তথা দেশবাসীর কাছে স্পষ্ট হয়েছে। আরো স্পষ্ট হয়েছে যখন দেখা গেল শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে সকলেই যার যার অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পেলেও সরকারি পুলিশ বাহিনী বিএনপিকে বাধা দিয়েছে।
আমরা আবার স্পষ্ট ও দৃঢ়তার সাথে ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ, লেখনি, তথ্য উপাত্ত নিয়ে প্রকৃত অপরাধি ও মুখোশধারীদের মুখোশ উন্মোচন করে, সমস্ত ভাঙচুর, হত্যাকান্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
আমরা লক্ষ্য করছি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এবং জেলা আওয়ামীলীগ ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ভিডিও ফুটেজ দেখে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবী করছে, আমরা জেলা বিএনপিও একই দাবী করি কিন্তু তার পূর্বেই যারা প্রকৃত জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু মাত্র বিএনপি করার অপরাধের প্রতিদিন নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে।
সদ্য কারামুক্ত বিএনপি তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকমীদের একজনও উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত ছিলনা এবং বিএনপির পক্ষ থেকেও কোন মিছিল করা হয়নি। অথচ বিএনপি নিধনের অংশ হিসেবে তাদেরই আসামী করে মামলা করা হয়েছে। আমরা স্পষ্ট এবং দৃঢ়তার সাথে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলতে পারি প্রশাসন কোন ভাবেই তাদের একজনও জড়িত প্রমান দেখাতে পারবেনা।
জেলা বিএনপি সৃষ্ট হত্যাকান্ড ও সমস্ত ভাঙচুরের সাথে জড়িত প্রকৃত অপরাধিদের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষনা করেছে। অচিরেই এই তদন্ত কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করবে।
সবশেষে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আগে যেন কাউকে অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানিমূলক মামলায় হয়রানি ও আসামী না করা হয়। প্রকৃত অপরাধি যে কেউ হউক, তার রাজনৈতিক পরিচয় যাই হউক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হউক।
পাশাপাশি বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ফরমায়েশী মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জোর দাবী জানাচ্ছি।প্রেস রিলিজ