ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সভায় যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভায় যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্তরে সমাবেশ স্থলে এ ঘটনা ঘটে। সংর্ঘষে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশ ও প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, আজ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্তরে আওয়ামী লীগের সমাবেশ শুরু হয়। এর পরই বসার স্থান নির্ধারন নিয়ে যুবলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা রাফির সমর্থকদের সাথে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ্র সমর্থকদের প্রথমে হাতাহাতি হয়। পরে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এসময় উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলের চেয়ার একে অপরের উপর নিক্ষেপ করে। এসময় চেয়ার ছোড়া-ছুড়ি সহ ইটপাটকেলের আঘাতে যুবলীগ ছাত্রলীগের অন্তত ১০ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন সুহিলপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তানভীর ভূইয়া (২৮) ছাত্রলীগ কর্মী সাকিব (১৮) আব্দুলাহ (১৫) আকিব (২৪) যুবলীগ কর্মী রফিকুল ইসলাম (৪০) ও আব্দুল্লাহ্ মিয়া (৩২)। বাকিদের নাম পরিচয় জানাযায়নি। এ ঘটনায় পুরো শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীর হোসেন জানান, ঘটনার পর সমাবেশ স্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সভাস্থলে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীদের শান্ত হওয়ার আহবান জানান। এসময় তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলে ন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা আওয়ামী লীগের শত্রু, শেখ হাসিনার শত্রু, বঙ্গবন্ধুর শত্রু, তাদেরকে কোন ভাবে ছাড় দেয়া হবেনা। তাদের কে সাংগঠনিকভাবেই নয় শুধু, আইনের আওতায়ও নিয়ে আসা হবে।