ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার বিশেষ অভিযান
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতারক চক্রের ০৩ জন সদস্য গ্রেফতারসহ অপহৃত ব্যক্তি উদ্ধার।



জান্নাত বেগম (২৬) জেলার বিজয়নগর উপজেলার দত্তখোলা গ্রামের কনু মিয়ার মেয়ে। লাভলী আক্তার (২৪) নাসিরনগর উপজেলার রুস্তমপুর গ্রামের আব্দুর রহমান প্রকাশ নুরু মিয়ার মেয়ে। জাবেদ মিয়া (৩০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়া মহল্লার মৃত খায়ের মিয়ার ছেলে।
পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন তিন প্রতারক জান্নাত, লাভলী ও জাবেদ। প্রতারক চক্রের এই দুই নারী খুবই ভয়ানক। তারা মানুষকে ফাঁদে ফেলে অপহরণ শেষে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করেন। স্বার্থের জন্য মানুষ খুন করতেও
তাদের বুক কাঁপে না।
গত বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মেড্ডা এলাকায় প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় অপহরণের শিকার গৌর শংকর দাশ নামে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তখন পুলিশের হাতে ধরা পরে প্রচণ্ড ভেঙে পড়েন জান্নাত ও লাভলী। সাংবাদিকদের সামনে আনার পর তারা অঝরে কান্না করেন। তাদের চোখ দিয়ে অঝরে পানি পড়তে দেখা যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন জানান, থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ শহরের মেড্ডা এলাকার মনির মিয়ার বসত বাড়িতে (বাড়ি নম্বর ৭৩৪) অভিযান চালিয়ে ওই তিন প্রতারককে আটক করে এবং অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে।
ওসি আরও জানান, এ প্রতারক চক্রটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতারণা করে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে অপহরণ শেষে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করে। তাদের কবল থেকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করা সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রামের ধীরেন্দ্র চন্দ্র দাশের ছেলে গৌর শংকর দাশকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটক তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।